সিঙ্গুরে ফের বাধা ফ্রেট করিডরে

২০১০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলপথে পণ্য পরিবহণের জন্য ডানকুনি থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত ‘ফ্রেট করিডর’ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই জন্য সিঙ্গুর লাগোয়া তিনটি মৌজায় জমি মাপার কাজ শুরু করেছে রেল এবং রাজ্য সরকার।

Advertisement

দীপঙ্কর দে

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৭ ০৪:২৩
Share:

ফাইল চিত্র।

ফ্রেট করিডর নিয়ে জমি জট কাটছে না সিঙ্গুরে।

Advertisement

দিন কয়েক আগে সিঙ্গুরের বলরামবাটি এলাকায় প্রস্তাবিত ফ্রেট করিডরের জমি জরিপ করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রেল ও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার ফের সেখানে যান তাঁরা। আগের দিনের মতো এ দিনও মহিলাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলে। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, চাকরি এবং ক্ষতিপূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া জমি মাপতে দেওয়া হবে না। বিক্ষোভের মুখে এ দিনও ফিরে যেতে বাধ্য হন আধিকারিকরা।

২০১০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলপথে পণ্য পরিবহণের জন্য ডানকুনি থেকে লুধিয়ানা পর্যন্ত ‘ফ্রেট করিডর’ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই জন্য সিঙ্গুর লাগোয়া তিনটি মৌজায় জমি মাপার কাজ শুরু করেছে রেল এবং রাজ্য সরকার। বারুইপাড়ার আগে পর্যন্ত ইতিমধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে সিঙ্গুরের রামনগর, মির্জাপুর-বাঁকিপুর এবং বলরামবাটি অংশে। ওই এলাকায় ‘বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহ রক্ষা কমিটি’ গড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সরকারি আধিকারিকরা জমি সমীক্ষার জন্য বলরামবাটি ঢুকতেই জনা কুড়ি মহিলা তেড়ে যান। বন্দনা দাস নামে এক মহিলার দাবি, ‘‘আমরা চাই ফ্রেট করিডর হোক। কিন্তু ওঁরা আমাদের না জানিয়ে এখানে আসছেন কেন? আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে হবে। রেল আগে আমাদের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করুক।’’ সিঙ্গুরের বিডিও সুমন চক্রবর্তী জানান, সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। এই নিয়ে শুক্রবার বৈঠকও হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের কোনও বৈঠকে ডাকা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন