অনাস্থায় প্রাক্তনকে দুষছেন পুরপ্রধান

তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে ১৪ জন কাউন্সিলর মঙ্গলবার চেয়ারপার্সনের উপরে অনাস্থা প্রকাশ করে তাঁকেই চিঠি দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৪৪
Share:

পুজালি পুরসভা।—ছবি ফেসবুক থেকে।

মোট ১৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৪ জনই অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি দিয়েছেন পুজালি পুরসভার চেয়ারপার্সন রীতা পালের বিরুদ্ধে। আর দলীয় কাউন্সিলরদের সমবেত অনাস্থার নেপথ্যে প্রাক্তন চেয়ারম্যান ফজলুর হক আছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারপার্সন। ফজলুর এখন ওই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।

Advertisement

তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে ১৪ জন কাউন্সিলর মঙ্গলবার চেয়ারপার্সনের উপরে অনাস্থা প্রকাশ করে তাঁকেই চিঠি দিয়েছেন। চেয়ারপার্সনের অভিযোগ, পুরসভায় দুর্নীতির খোঁজখবর শুরু করায় তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। রীতাদেবীর দাবি, পুরসভার একটি পার্ক তৈরির খরচ নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। পুরসভার ঠিকাদারদের বরাত দেওয়ার বিষয়েও নানা প্রশ্ন উঠছিল। ওই সব বিষয়েও বিগত বোর্ডের কার্যকলাপ নিয়ে অডিটের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেই হয়তো তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

রীতাদেবীর অভিযোগ, পার্ক তৈরি সংক্রান্ত খরচের ফাইল দায়িত্বপ্রাপ্ত বাস্তুকারের কাছ থেকে চাওয়ার পরে ফজলুর নানা ভাবে কাউন্সিলরদের উস্কানি দিচ্ছিলেন। প্রায় সাত বছর ধরে একটি পার্ক তৈরির কাজ চলছিল। তিনি চেয়ারপার্সন হওয়ার পরে তা মাস চারেকের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি রীতাদেবীর। তিনি জানান, পুরসভার সব দুর্নীতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চেয়ারপার্সনের অভিযোগ, গত মার্চে প্রায় জোর করে ফজলুরের ছেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ফজলুরই। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে আর বাপের বাড়িতে পাঠানো হয়নি।

Advertisement

কাউন্সিলরদের অনাস্থার চিঠির প্রেক্ষিতে রীতাদেবী বলেন, ‘‘আমি কোনও কথা শুনি না বলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ন’মাস আমাকেই পুরসভায় প্রায় একঘরে করে রাখা হয়েছে। আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেন না। আমি কথা যদি না-শুনি, তা হলে আমার সঙ্গে

ওঁরা কথা বলতে পারতেন। আমি কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করব। আমি কোন কথা শুনতে চাইনি, সেটাও জানতে চাইব।’’

রীতাদেবীর অভিযোগ নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা নেই বলে জানান ফজলুর। তিনি বলেন, ‘‘যাঁর যা ইচ্ছে, বলতে পারেন। অভিযোগ করতে পারেন। এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন