ছেলের মৃতদেহের পাশে বাবলুর মা।—নিজস্ব চিত্র।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় নিহত বাঙালি দুই সিআরপিএফ জওয়ানের দেহ পৌঁছল কলকাতায়। দিল্লি থেকে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে শনিবার বিকেল নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাস এবং হাওড়ার বাউড়িয়ার বাবলু সাঁতরার কফিনবন্দি দেহ পৌঁছয়। সিআরপিএফ-এর তরফে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। দুই জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেল বহু মানুষ। দুই নিহত জওয়ানের কফিন কাঁধে নিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে।
শনিবার সকাল থেকেই বিমানবন্দর চত্বরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন বহু মানুষ। সিআরপিএফ ছাড়াও, বায়ুসেনা, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বায়ুসেনার বিমান রানওয়ে ছুঁতেই সুদীপ এবং বাবলুর নামে ভিড়় থেকে জয়ধ্বনি উঠে শুরু করে। শ্রদ্ধা জানানোর পর কফিনবন্দি দুই জওয়ানের দেহ এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। সেখানে রাজ্য পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সাধারণ মানুষ নিহত দুই জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানান। শাসক এবং বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বাবলু সাঁতরার স্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধ চাই না। শান্তি ফিরুক। এ পারেও যেমন মায়ের কোল খালি হচ্ছে, ও পারেও তো অনেকে মারা যাচ্ছেন!’’
নদিয়ার তেহট্টের হাঁসপুকুরিয়াই হোক বা হাওড়া বাউড়িয়া, সকাল থেকে সেখানেও ভিড়। পাড়াপ্রতিবেশীরা তো রয়েইছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার বাবা, মা এবং পরিবারের সঙ্গে শেষ বারের মতো কথা হয়েছিল সুদীপের। কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যায়। তার পর সব শেষ। ডিসেম্বরে বাড়িতে এসেছিলেন সুদীপ।
বাড়িতে পৌঁছল বাবলু সাঁতরার মৃতদেহ।
বন্ধুদের বলেছিলেন, শ্রীনগর থেকে ক্রিকেট ব্যাট কিনে আনবেন। সেই ব্যাট আর এসে পৌঁছল না। সুদীপ এল ‘কফিনবন্দি’ হয়ে! সুদীপের মতোই বাবলুও খেলাধুলোয় ভাল ছিল। ভলিবল খেলতে বেশি পছন্দ করতেন। ইচ্ছে ছিল গ্রামে একটি ভলিবল কোচিং ক্লাস করবেন।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা সম্পর্কে এগুলি জানেন?
আরও পড়ুন: আত্মরক্ষার্থে ভারতের যে কোনও পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন করা হবে, জানিয়ে দিল আমেরিকা
(মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)