ছাত্রীকে নির্যাতন, ১০ বছর জেল স্কুল শিক্ষকের

এই মামলার সরকারি আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি ও রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৩:১৬
Share:

স্কুলের মধ্য প্রথম শ্রেণির ছাত্রীর উপরে যৌন নির্যাতনের মামলায় ওই স্কুলের শিক্ষককে দশ বছরে সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সিউড়ির বিশেষ আদালত। শুক্রবার
ওই সাজা শোনান সিউড়ি বিশেষ আদালতের বিচারক দীপেন্দ্রনাথ মিত্র। সাজাপ্রাপ্ত লাভপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।

Advertisement

এই মামলার সরকারি আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এ দিন বিচারক দোষীর ১০ বছরের সাজা শোনানোর পাশাপাশি তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাবাস। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারকে নির্যাতিতা ছাত্রীকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রণজিৎবাবু বলেন, ‘‘২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটে লাভপুরের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একা পেয়ে স্কুলের মধ্যেই তাকে যৌন নির্যাতন করেন ওই শিক্ষক।’’ শিশুটি বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দু’দিন পরে লাভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (পক্সো) ধারায় মামলা রুজু হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক অরুণ কুমার মণ্ডল অবশ্য সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে এ দিন দাবি করেন, চাঁদা নিয়ে স্কুলে একটি ঝামেলার জন্য রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

এ দিনই মূক ও বধির এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রামপুরহাট আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ওই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম মজিবুল শেখ। মুরারই থানার খুটকাইল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছিল। সরকারি আইনজীবী দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানান, ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর
গ্রামের মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল তেরো বছরের ওই কিশোরী। সেই সময় পড়শি মজিবুল তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। কিশোরীটি বাড়িতে এসে ঘটনার কথা মাকে বলে। যুবকটির বাড়িতে গিয়ে তাকে চিনিয়েও দেয়। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। পরে রামপুরহাট আদালতে মজিবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর পরিজনেরা। আদালতের নির্দেশে পুলিশ মজিবুলকে গ্রেফতার করে। সরকারি আইনজীবী জানান, এ দিন আদালত মজিবুলকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন