Dowry Death

শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু যুবতীর, আটক চার

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শামিমার বাড়িও গোকুলপুরে। সামিমার যখন চার বছর বয়স, তখন তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। মা বিড়ি বেঁধে ছেলে মেয়েদের বড় করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ০৯:০৭
Share:

শামিমা খাতুন। ফাইল চিত্র।

পণের টাকা না-পেয়ে এক যুবতীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি ২ ব্লকের গোকুলপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শামিমা খাতুন (২৪)। সোমবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শামিমার বাড়িও গোকুলপুরে। সামিমার যখন চার বছর বয়স, তখন তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। মা বিড়ি বেঁধে ছেলে মেয়েদের বড় করেছেন। বছর খানেক আগে গ্রামেরই যুবকের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন শামিমা। অভিযোগ, বিয়ের কয়েক দিন পরেই পণের জন্য অত্যাচার শুরু করেন স্বামী ও শ্বাশুড়ি। বিষয়টি প্রতিবেশীদের থেকে জেনে গ্রামের লোকের সামনে জামাইকে টাকা দিয়েছিলেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন শামিমার মা ইসনা বেওয়া। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তার পরেও মেয়ের উপরে অত্যাচার থামেনি। কষ্ট করে মেয়েকে মানুষ করেছি। বিয়ে করতে নিষেধ করেছিলাম। শোনেনি। অত্যাচারের কথাও আমাদের জানাত না। আমার কথা শুনলে এই ভাবে মৃত্যু হত না।’’

পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দরজা ভেঙে শামিমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করার কথা তাঁদের জানিয়েছেন। সেই খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, শামিমা মেঝেতে পড়ে আছেন। গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো। কিন্তু, ঘরের দরজা ভাঙার কোনও চিহ্ন নেই। ঘরের যে পাখায় ফাঁস লাগিয়েছেন বলে শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা দাবি করেছেন, সেটাও অক্ষত। মৃতের কাকা হাবিবুল শেখ বলেন, ‘‘যদি শামিমা আত্মহত্যা করে, তা হলে নলহাটি থানার পুলিশকে না-ডেকে কেন দেহ নীচে নামানো হল?’’ তাঁরা জানান, থানায় শ্বশুরবাড়ির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। এক জন পলাতক। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পরে বিকেলে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। হাবিবুলের দাবি, ‘‘পণের জন্যই শামিমাকে খুন করা হয়েছে। দিন দশেক আগেও জামাই ও শাশুড়ি প্রচণ্ড মারধর করেছে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন