প্রতীকী ছবি।
গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে প্রশ্নপত্রের উত্তর খুঁজছিলেন কেউ। কেউ আবার হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে উত্তর জানার চেষ্টা করছিলেন। কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় এমনই কারচুপির অভিযোগ উঠল রবিবার বাঁকুড়া আদালতের কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায়। আটক করা হল এক যুবতী-সহ সাত জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, আটক পরীক্ষার্থীরা মালদহ, নদিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা।
পরীক্ষার আয়োজকদের দাবি, বাঁকুড়া সদর থানার বঙ্গ বিদ্যালয়, খ্রিস্টান কলেজ ও রাজগ্রামের বিবেকানন্দ হিন্দু বিদ্যালয় থেকে দু’জন করে মোট ছ’জন এবং বাঁকুড়ার শিবশঙ্কর বালিকা বিদ্যালয় থেকে এক জনকে পরীক্ষায় কারচুপি করার অভিযোগে হাতেনাতে ধরা হয়।
তাঁদের উত্তরপত্র বাতিল করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত জানিয়েছে, ওই সাত জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাঁকুড়া জেলা ছাড়াও রাজ্যের অন্য জেলা থেকে বহু কর্মপ্রার্থী এ দিন পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কর্মপ্রার্থী এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। বাঁকুড়া সদর, বিষ্ণুপুর ও খাতড়া— জেলার এই তিনটি মহকুমায় প্রায় ৩৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক হওয়া প্রত্যেকেই বাইরের জেলা থেকে এসেছিলেন। চেষ্টা করেও অভিযুক্ত বা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘পরীক্ষার আগেই কর্মপ্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মোবাইল ফোন-সহ কোনও রকমের ইলেকট্রনিক জিনিস নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। তার পরেও ওই সাত জন মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় কারচুপি করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’