ঘর পাবেন ৭০ হাজার, চলছে নথি যাচাই-পর্ব

জেলাশাসক জানান, এই প্রকল্পে বীরভূমে প্রায় ৭০ হাজার বাড়ি হবে। ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশের বেশি উপভোক্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব  সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:১৬
Share:

সিউড়ির রবীন্দ্রসদনে আবাস বিতরণ অনুষ্ঠান। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাংলা সংস্করণ বাংলা আবাস যোজনা। ওই প্রকল্পে রাজ্যে বসবাসকারি পাঁচ লক্ষ গৃহহীন পরিবারকে একই দিনে আর্থিক সহায়তা প্রদানের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল সোমবার। বাংলার আবাস বিতরণ দিবস নাম দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানটি হল কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোরে। পাশাপাশি জেলায় জেলায়ও একই ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছে। ব্যতিক্রম নয় বীরভূমও।

Advertisement

সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের উপস্থিতিতে আবাস বিতরণ দিবস পালিত হল সিউড়ি রবীন্দ্রসদন মঞ্চে। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বীরভূমের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার হরিকৃষ্ণণ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দীপ্তেন্দু বেরা, মহকুমাশাসক কৌশিক সিংহেরা আবাস যোজনায় চিহ্নিত উপভোক্তাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিলেন। জেলাশাসক জানান, এই প্রকল্পে বীরভূমে প্রায় ৭০ হাজার বাড়ি হবে। ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশের বেশি উপভোক্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

ঘটনা হল, দেশ ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ ছুঁয়ে যাবে। তার আগেই দেশের সব গৃহহীনদের বাড়ি তৈরি হবে, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন। আগে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা আবাস যোজনার পরিমার্জিত সংস্করণ করে নাম দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কেন্দ্র ও রাজ্যের অংশীদারিত্বে এই প্রকল্প রূপায়ণে প্রতি বছর গ্রামীণ এলাকায় ১ কোটি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০১২ সালে আর্থ সামাজিক ও জাতিগত সমীক্ষা অনুয়ায়ী যে সকল পরিবারের পাকা বাড়ি নেই সেগুলিকে চিহ্নিত করা হয়ছে। এই প্রকল্পে সেই সব পরিবারকে চার কিস্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।

Advertisement

এ ছাড়াও উপভোক্তা পাবেন ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ৯০ দিনের মজুরি। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে জেলার মোট ৬৯, ৭০৭ জনের। তাঁদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জিওট্যাগ করে সোমবার সকাল পর্যন্ত অনুমোদিত বাড়ির সংখ্যা ৪১, ৮২৭টি। প্রাপকদের তালিকা ধরে অনুমোদন পেতে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে বোলপুর, দুবরাজপুর, লাভপুর, ময়ূরেশ্বর ব্লকগুলি। অবার এ কাজে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে সাঁইথিয়া, সিউড়ি ১ ও নানুরের মতো ব্লকগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement