ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফি নিয়ে অশান্তি

ফি বকেয়া থাকা নিয়ে বিবাদের জেরে কলেজের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ উঠল সিউড়ির একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। শনিবারের ঘটনা। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০২:১৮
Share:

কলেজে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

ফি বকেয়া থাকা নিয়ে বিবাদের জেরে কলেজের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ উঠল সিউড়ির একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। শনিবারের ঘটনা। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

Advertisement

বেশ কিছু পড়ুয়ার ফি বকেয়া রয়েছে। বকেয়া না মেটালে সেই পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সিউড়ির একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চত্বর। পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের মধ্য চূড়ান্ত বিবাদ হয়। শনিবার দুপুরের ঘটনা।

কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনের মাসে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা রয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের অনেকেরই সেমিস্টার বাবদ বেশ বড় অঙ্কের ফি বাকি। কর্তৃপক্ষের দাবি, বেসরকারি কলেজে পড়ুয়ারা ফি না দিলে কলেজ চলবে কী ভাবে?

Advertisement

অন্যদিকে, পড়ুয়াদের দাবি, অনেকেই সিংহভাগ টাকা জমা দিয়েছেন। যাঁদের সেমিস্টার বাবদ ‘সামান্য’ টাকা বকেয়া রয়েছে, তাঁরাও তা দিয়ে দেবেন। তাঁরা চান, প্রত্যেককেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এই অনুরোধ জানাতেই তাঁরা এ দিন কলেজে গিয়েছিলেন। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা শুনতেই চাননি। বরং পড়ুয়াদের বেশ কয়েকজনকে কলেজের তিন শিক্ষক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এই মর্মে সিউড়ি থানায় পরে একটি লিখিত অভিযোগও করেন এক ছাত্র।

যদিও মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কলেজের শিক্ষকেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকদের দাবি, ‘‘কথা কাটাকাটির বেশি কিছু হয় নি।’’ তাঁদের অভিযোগ, এমনিতে গত কয়েক বছর ধরেই পড়ুয়াদের একাংশের মধ্যে ফি না দেওয়ার একটা মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। তাঁদের টাকা দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও ইচ্ছা করে টাকা না দেওয়ার নানা ছুতো খোঁজে। তা বন্ধ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পুড়ুয়ারা অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের কথায়, সমস্যার মূলে রয়েছে কলেজে ভর্তির সময় দেওয়া একটা বিজ্ঞপ্তি। সেখানে বলা হয়ে ছিল, মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ নম্বর পাওয়া যে সব পড়ুয়া ৫০০০-এর নীচে র‌্যাঙ্ক করবে, তাঁদের স্কলারশিপ বাবদ (সেমিস্টার বাবদ ৭৪ হাজারের) অর্ধেক টাকা ছাড় দেবে কলেজ। কিন্তু কিছুদিন আগে কলেজের ডিরেক্টর সরে যাওয়ায় বর্তমানে ম্যানেজমেন্ট নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। তারা এখন সবার কাছে পুরো টাকা চাইছে। যা শর্ত বহির্ভূত। স্কলারশিপ দিলে অনেকের কাছ থেকেই ওই পরিমাণ টাকা কলেজের প্রাপ্য হয় না। যদিও এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউ মুখ খুলতে চাননি।

পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন