accident

ঘষটে নিয়ে গেল ট্রাক, মৃত বালক

বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ পুরুলিয়া শহরের রেনিরোডে ৬০-এ জাতীয় সড়কে দেবীমেলার অদূরে এই দুর্ঘটনার পরে এলাকা তেতে ওঠে। বাসিন্দারা ঘণ্টা দু’য়েকের বেশি অবরোধ করেন। ট্রাক ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:০৪
Share:

রোষ: দুর্ঘটনার পরে ভাঙচুর করা হয়েছে ট্রাক। ছবি: সুজিত মাহাতো

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই আরোহী-সহ মোটরবাইক ঢুকে পড়েছিল চলন্ত ট্রাকের নীচে। তাঁদের ঘষটে নিয়ে কয়েক মিটার এগিয়ে যায় ট্রাক। বাসিন্দারা যখন আরোহীদের উদ্ধার করেন, ততক্ষণে মোটরবাইকে থাকা এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। বাইকের চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ পুরুলিয়া শহরের রেনিরোডে ৬০-এ জাতীয় সড়কে দেবীমেলার অদূরে এই দুর্ঘটনার পরে এলাকা তেতে ওঠে। বাসিন্দারা ঘণ্টা দু’য়েকের বেশি অবরোধ করেন। ট্রাক ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রীতম পরামানিক (১২)। তার বাড়ি রেনিরোডেই। আহত হয়েছেন প্রীতমের পরিচিত যুবক নয়ন মোদক। তাঁকে বোকারোতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ট্রাকটি আটক করে। চালকের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই ঘটনায় এলাকায় শোক নেমে এসেছে। প্রীতম পুরুলিয়া শহরের চিত্তরঞ্জন বয়েজ় হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। প্রীতমের সম্পর্কিত দাদা প্রদ্যুৎ পরামানিক বলেন, ‘‘ভাই কেন যে বাইকে চেপে কোথায়, কেন যাচ্ছিল জানি না। এমন ঘটবে কে জানত।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে প্রীতম তার এক পরিচিতের সঙ্গে মোটরবাইকে গোশালা মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। প্রীতমের বাড়ির কিছুটা দূরে ওই রাস্তায় গম বোঝাই একটি ট্রাকের তলায় তাঁদের নিয়ে মোটরবাইকটি ঢুকে যায়।
বাসিন্দাদের নজরে আসতেই তাঁরা হইচই শুরু করেন। সবাই তাঁদের উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সেই সুযোগে ট্রাক থেকে নেমে চালক চম্পট দেন। দুর্ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই জাতীয় সড়কে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। ক্ষুব্ধ মানুষজন দুর্ঘটনাস্থলে বালকের দেহ ফেলে রেখে পথ অবরোধ শুরু করেন। তাঁরা মৃত ও আহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তোলেন। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণেরও দাবি তোলা হয়। কিছু লোকজন ট্রাকে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ কেউ ট্রাকে আগুন ধরানোর জন্য উস্কানি দেন। ট্রাকের ট্যাঙ্ক ফুটো করে কয়েক জন তেল বার করার চেষ্টা চালান।
সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের বাহিনী পৌঁছয়। ছিলেন ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) সুমোহন রায়চৌধুরী, ডিএসপি (ট্র্যাফিক) দুর্লভ সরকার, সিআই উত্তম মণ্ডল ও পুরুলিয়া সদর থানার ওসি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ গিয়ে রাস্তা থেকে ওই বালকের দেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পরে বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার পরে অবরোধ তোলা হয়। ততক্ষণে ওই রাস্তায় প্রচুর গাড়ি আটকে গিয়েছিল। অবরোধ ওঠার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগে।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন