নাবালক বিয়ে রুখল প্রশাসন

দুই জেলায় পরপর বেশ কয়েকটি নাবালিকা ও এক নাবালকের বিয়ে বন্ধ করল চাইল্ড লাইন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বরাবাজার ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০২:১৪
Share:

বরাবাজারে: গ্রামে প্রশাসন ও চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।

দুই জেলায় পরপর বেশ কয়েকটি নাবালিকা ও এক নাবালকের বিয়ে বন্ধ করল চাইল্ড লাইন।

Advertisement

পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর দীপঙ্কর সরকার এবং সদস্য আশোক মাহাতো জানান, শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে কেন্দা থানার এক গ্রামে দশম শ্রেণির সতেরো বছরের এক পড়ুয়ার বিয়ে রুখতে যান তাঁরা। শনিবার বরাবাজার থানা এলাকার নবম শ্রেণিতে পাঠরত চোদ্দ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে কেন্দার দশম শ্রেণির ওই কিশোরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ দিন ছেলের বাড়ি থেকেই চাইল্ড লাইনের সদস্যরা বরাবাজারে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলে বিয়ে বন্ধ করান। অবশ্য ছেলের বাবাকে বোঝাতে তাঁদের বিশেষ বেগ পেতে হয়নি বলে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা জানিয়েছেন।

অন্য দিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাঁকুড়ায় রুখে দেওয়া হয়েছে চার নাবালিকার বিয়ে। বুধবার তালড্যাংরা, হিড়বাঁধ ও বড়জোড়া ব্লকে তিন এবং বৃহস্পতিবার কোতুলপুর ব্লকে এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা হয়। বাঁকুড়া চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সজল শীল বলেন, “চার নাবালিকার বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। প্রত্যেকেই ছাত্রী। তাদের পরিবারের লোকজন ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।”

Advertisement

বৃহস্পতিবার বরাবাজার থানা এলাকার দু’টি জায়গায় দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করেছে চাইল্ড লাইন। তাদের একজন নবম শ্রেণিতে পড়ে, অন্যজন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। বিডিও (বরাবাজার) শৌভিক ভট্টাচার্য জানান, দুই পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার চাইল্ড লাইনের কর্তারা বরাবাজারের গ্রামে যান। চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর দীপঙ্কর সরকার বলেন, ‘‘পরীক্ষার পরে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাড়ি যাওয়া হয়। প্রথমে বাধা এলেও বুঝিয়ে বলায় কাজ হয়। পাত্রপক্ষও ভুল বুঝতে পেরেছে। নির্দিষ্ট বয়সের পরেই বিয়ে হবে বলে তারা জানায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন