লাল-মাটি: সমুদ্রবাঁধ। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জয়পুরের অন্যতম আকর্ষণ। ছবি: শুভ্র মিত্র
শাল জঙ্গল, সমুদ্রবাঁধ, জেলার সব থেকে বড় মাকড়া পাথরের মন্দির গোকুলচাঁদ— সবই রয়েছে এখানে। বাঁকুড়ার সেই জয়পুরকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য উৎসব শুরু হচ্ছে। জয়পুর উৎসব কমিটির আয়োজনে ১৫ থেকে ১৯ ডিসেম্বর ওই পর্যটন উৎসব চলবে। সোমবার জয়পুর ব্লক অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানানো হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান কোতুলপুরের বিধায়ক শ্যামল সাঁতরা জানান, জয়পুর ব্লক অফিস লাগোয়া ভাস্করানন্দ মঞ্চ ও রামাই পণ্ডিত মঞ্চে উৎসব চলবে। বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। উদ্বোধন করার কথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারির। ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল, জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ঝুলন গোস্বামী, বিধায়ক তথা জাতীয় ফুটবলার দিব্যেন্দু বিশ্বাসের থাকার কথা রয়েছে। প্রথম দিন, ১৫ই ডিসেম্বর ঐতিহ্যের জন্য দৌড় হবে। গোঁকুলচাদ মন্দিরে হবে কবি সম্মেলন। দিনভর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। সন্ধ্যায় হবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর। পণ্ডিত শান্তনু বন্দ্যোপাধায়-সহ বিষ্ণুপুর ঘরানার বিভিন্ন শিল্পীদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সেতার বাজানোর কথা রয়েছে মহকুমাশাসক (তমলুক) শুভ্রজ্যোতি ঘোষের। মেলার পাঁচ দিনই স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং বাংলা ব্যান্ডের শিল্পীরা অনুষ্ঠান করবেন বলে জানানো হয়েছে।
মেলায় থাকবে ৪০ টি স্টল। তার মধ্যে জয়পুর ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ২০টি স্টলে তাঁদের পসরা নিয়ে থাকবেন। বিডিও (জয়পুর) তথা উৎসব কমিটির কার্যকারী সভাপতি ধ্রুবপদ শাণ্ডিল্য বলেন, ‘‘গনগনি, শুশুনিয়া, বিষ্ণুপুর, জয়ামবাটি— এই পর্যটন সার্কিটের কেন্দ্রস্থল হিসাবে আমরা জয়পুরকে তুলে ধরতে চাই। খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য সড়ক সংস্কার করে চওড়া করার কাজ শুরু হবে। পর্যটকদের জন্য জয়পুরের জঙ্গল ঘেরা গ্রামে হোম স্টে এবং জঙ্গল সাফারির বন্দোবস্ত করার জন্য কথাবার্তা চলছে।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম বিডিও প্রবীরকুমার শীট, উৎসব কমিটির সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নবকুমার রুইদাস, তৃণমূলের জয়পুর ব্লক সভাপতি স্বপন কোলে, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রবিয়াল মিদ্যা প্রমুখ।