—ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ ২০ বছর পর ফের জেলা পরিষদে মহিলা সভাধিপতি পেল বাঁকুড়া। সোমবার বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রেক্ষাগৃহে সভাধিপতি হিসাবে শপথ নিলেন তালডাংরা থেকে জয়ী অনুসূয়া রায়। এর আগে ২০০৩ সালে পূর্ণিমা বাগদী শেষ বার মহিলা সভাধিপতি হিসাবে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সোমবার-সহ সভাধিপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন ছাতনা থেকে জয়ী পরিতোষ কিস্কু।
রাজ্যে সদ্য শেষ হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার ৫৬টি আসনের মধ্যে ৫৫টি পায় তৃণমূল। ১টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনটি এ বার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় তৃণমূলকে সভাধিপতি নির্বাচন করতে বেশ বেগ পেতে হয়। জেলা পরিষদের ৫৫টি আসনে ২৬ জন মহিলা জয়ী হওয়ায় তাঁদের মধ্যে থেকে কাকে সভাধিপতি করা হবে, তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই শুরু হয় জল্পনা। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সভাধিপতি কে হচ্ছেন, তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন তৃণমূলের জেলা নেতারাও। বেলা ১১টা নাগাদ সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতির নাম ঘোষণার জন্য বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকেন দলীয় নেতৃত্ব। সেখানেই তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিব্যেন্দুসিংহ মহাপাত্র বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসাবে অনুসূয়া রায় ও সহ-সভাধিপতি হিসাবে পরিতোষ কিস্কুর নাম ঘোষণা করেন। এর পর তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
দলীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলা পরিষদে নবনির্বাচিত সভাধিপতি অনুসূয়া এর আগে তালডাংরা ব্লকে ফুলমতি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবেও। সোমবার শপথ গ্রহণের পর অনুসূয়া বলেন, ‘‘আমি দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে জেলার ২২টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ১৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে সমন্বয় রেখে গ্রামাঞ্চলে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব। এই জেলার প্রতিটি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব।’’ সহ-সভাধিপতি পরিতোষ কিস্কুরও এর আগে পঞ্চায়েত পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে তিনি পাঁচ বছর ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন।