দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে সবুজ হবে এমএসএ-র মাঠ

সময়টা গত বছরের জানুয়ারি। আইএফএ-র ক্লাব ফুটবলের ম্যাচ খেলাতে আসা এক প্রশিক্ষক বলেছিলেন, ‘‘এই মাঠে আর যাই হোক, ফুটবল খেলাটা হয় না।’’পুরুলিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে মানভূম ক্রীড়া সংস্থার মাঠ নিয়ে এমন অভিযোগ অনেক দিনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৯
Share:

ধুলো: এমনই হাল ক্রীড়া সংস্থার মাঠের। নিজস্ব চিত্র

সময়টা গত বছরের জানুয়ারি। আইএফএ-র ক্লাব ফুটবলের ম্যাচ খেলাতে আসা এক প্রশিক্ষক বলেছিলেন, ‘‘এই মাঠে আর যাই হোক, ফুটবল খেলাটা হয় না।’’

Advertisement

পুরুলিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে মানভূম ক্রীড়া সংস্থার মাঠ নিয়ে এমন অভিযোগ অনেক দিনের। বৃষ্টি না হলে মাঠে ধুলো ওড়ে। এক প্রাক্তন খেলোয়াড়ের কথায়, ‘‘ম্যাচ চললে মনে হয় যে মরুভূমিতে খেলা হচ্ছে।’’

বিভিন্ন সময়ে খেলোয়াড়, কোচ এমনকী ক্রীড়া সংগঠকদের পক্ষ থেকেও মাঠটি সংস্কার করার দাবি উঠেছে। মাঠে আলো লেগেছে, গ্যালারি হয়েছে, মাঠের পাশে নতুন ইন্ডোর স্টেডিয়াম হয়েছে, মাঠের বাইরে রাস্তার ধারে দোকানঘর তৈরি হয়েছে।

Advertisement

কিন্তু খেলার মাঠটিকে সবুজ করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পায়নি বলেই খেলোয়াড়দের অভিযোগ। তৈরি হয়নি খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমও।

সম্প্রতি বেলকুঁড়ি ময়দানের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে মানভূম ক্রীড়া সংস্থাকে দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করায় খুশির হাওয়া পুরুলিয়ার ক্রীড়া মহলে।

সবাই চান সেই টাকায় যেন মাঠ সংস্কার হয়। মানভূম ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অর্ধেন্দু ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা খুবই খুশি মুখ্যমন্ত্রী সংস্থার মাঠের জন্য এই ঘোষণা করায়।’’ তিনি জানান, ২০০৮ সালে তৎকালীন বিধায়ক নিখিল মুখোপাধ্যায় ৪ লক্ষ টাকা দিযেছিলেন মাঠ সংস্কারের জন্য। সেই টাকায় কিছু কাজ হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘‘মাঠটি নিয়ে যে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ রয়েছে তা আমরা জানি। মাঠে ঘাস নেই, ধুলো ওড়ে। মাঠটি সবুজ করতে আমরা বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন