দেরিতে খোলায় পঞ্চায়েতে তালা বাঘমুণ্ডিতে

অফিস খোলার সময় পার হয়ে গেলেও পঞ্চায়েত না খোলায় বাঘমুণ্ডির সেরেঙডি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি মঙ্গলবারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পঞ্চায়েত অফিস খোলার নির্ধারিত সময়ে এলাকার কিছু বাসিন্দা তখনও দরজায় তালা ঝুলছে। পঞ্চায়েতের কর্মীদের ফোনে ধরার চেষ্টা করেও অফিস কখন খুলবে, সে সম্পর্কে মানুষজন নিশ্চিত হতে পারেননি বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০১:২২
Share:

অফিস খোলার সময় পার হয়ে গেলেও পঞ্চায়েত না খোলায় বাঘমুণ্ডির সেরেঙডি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি মঙ্গলবারের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পঞ্চায়েত অফিস খোলার নির্ধারিত সময়ে এলাকার কিছু বাসিন্দা তখনও দরজায় তালা ঝুলছে। পঞ্চায়েতের কর্মীদের ফোনে ধরার চেষ্টা করেও অফিস কখন খুলবে, সে সম্পর্কে মানুষজন নিশ্চিত হতে পারেননি বলে অভিযোগ। ঘণ্টা খানেক পার হয়ে গেলেও পঞ্চায়েতের কোনও প্রতিনিধি অফিসে না আসায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা পঞ্চায়েতের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন।

স্থানীয় পড়সা গ্রামের সাধুতরন কুমার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে এক জন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বসেন। আমি তাঁকে দেখাতে এসেছিলাম। এসে দেখি পঞ্চায়েত খোলেইনি।’’ জাবরি গ্রামের বিষ্ণু সিংহ মুড়ার কথায়, ‘‘আমি আমার ইন্দিরা বিকাশ যোজনা প্রকল্পের বাড়ির খবর নিতে এসেছিলাম। এসে দেখি, পঞ্চায়েত বন্ধ।’’ কুশলডি গ্রামের বেণীমাধব পরামানিকের ক্ষোভ, ‘‘শুধু আজ বলে নয়, প্রায়ই এই পঞ্চায়েত খুলতে দেরি হয়। পরিষেবা পেতে মানুষজনকে সমস্যায় পড়তে হয়।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগকে সমর্থন করে এলাকার তৃণমূল নেতা নিধিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘সেরেঙডি পঞ্চায়েত শুধু এক দিনই নয়, মাঝে মাঝেই দেরি করে খোলে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমরা স্থানীয় মানুষজনকে নিয়ে এ দিন পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।’’

Advertisement

ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি, শেষ অবধি এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ পঞ্চায়েতের সচিব প্রেমপ্রকাশ মাহাতো অফিসে আসেন। কিন্তু তাঁকে পঞ্চায়েত খুলতে দেওয়া হয়নি। এলাকাবাসী দাবি করেন, ব্লক অফিস থেকে বিডিও বা বিডিও-র প্রতিনিধিকে এখানে আসতে হবে। তাঁর সামনে পঞ্চায়েতের লোকজন তাঁদের কাছে ক্ষমা না চাইলে তাঁরা পঞ্চায়েত খুলতে দেবেন না। প্রেমপ্রকাশবাবুর দাবি, এ দিনই তাঁর অফিসে পৌঁছতে একটু দেরি হয়েছে. এ জন্য তিনি উপস্থিত মানুষজনের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছেন। এ দিন বিকেলে বিডিও-র প্রতিনিধি পঞ্চায়েতে গেলে তাঁর সামনে লোকজন পঞ্চায়েত অফিসের তালা খুলে দেন। ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দ্বিজেন গরাঁই জানান, বিষয়টি মিটে গিয়েছে। বাঘমুণ্ডির বিডিও বিমলেন্দু নাথ বলেন, ‘‘সেরেঙডি পঞ্চায়েত অফিসে কিছু মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি ওই পঞ্চায়েতের সচিবকে দেখতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন