আক্রান্ত আট বিজেপি কর্মী, নালিশ সারেঙ্গায়

বিজেপি-র তরফে সারেঙ্গা থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপির তরফে রবিবার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সারেঙ্গা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সারেঙ্গার সুখাডালি এলাকায়। জখম হয়েছেন আট জন বিজেপি কর্মী। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন সারেঙ্গা খ্রিস্টিয় সেবা নিকেতন হাসপাতাল ও তিন জন বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। বিজেপি-র তরফে সারেঙ্গা থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপির তরফে রবিবার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

বিজেপি-র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র জানান, ওই রাতে সারেঙ্গা ১ মণ্ডলের সভাপতি বিষ্ণু গড়াই-সহ আট জন কর্মী দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সুখাডালি বাজারে আচমকা তৃণমূলের লোকজন লাঠি, রড নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয়। মারধর করে হামলাকারীরা চম্পট দেয়। জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সারেঙ্গা খ্রিস্টিয় সেবানিকেতনে। তাঁদের মধ্যে সুদাম গড়াই, দেবাশিস মণ্ডল ও রমেন গ়়ড়াইয়ের চোট বেশি থাকায় তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হয়। বিবেকানন্দবাবু বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে। এলাকায় বিজেপি-র ভিত মজবুত হচ্ছে বলে আমাদের কর্মীদের মনোবল ভাঙতে এটা করছে তৃণমূল।’’

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঝামেলার জন্য বিজেপি-কেই পাল্টা দায়ী করেছেন সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “শুক্রবার সুখাডালিতে বিজেপি পার্টি অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে আমাদের এক কর্মীর উপরে চড়াও হয় ওরা।” তাঁর অভিযোগ, ওই তৃণমূল কর্মীকে ঘেরাও করে বিজেপি-র দলীয় পতাকা খুলে ফেলার অভিযোগ তোলে বিজেপি কর্মীরা। ওই কর্মীকে নিগ্রহ করে বিজেপি-র পতাকা লাগাতে বাধ্য করা হয়। ঘটনাটি নিয়ে তৃণমূলের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

কিন্তু বিজেপি কর্মীরা জখম হলেন কী করে?

ধীরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “লাঠি, রড নিয়ে হামলার অভিযোগ মিথ্যা। বিজেপি কর্মীরা আমাদের দলের কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু করেছিল। সেই বচসার জেরে দু’পক্ষের ঠেলাঠেলিতে কিছু লোকজন পড়ে চোট পেয়েছেন।” তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূল কর্মীদের উত্যক্ত করা হয়েছে ঝামেলার জন্য।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলার রাজনীতিতে এই ধরনের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ওন্দার রামসাগরে বিজেপি-র পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন