প্রতীকী ছবি।
বাঘমুণ্ডির দু’টি গ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবারও কুশলডি ও লাগোয়া গোবিন্দডি গ্রামের মোট আট জনকে বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করতে হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে এই দু’টি গ্রাম থেকে গত ১০ দিনে ৩৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া ঘনঘন পায়খানা, বমি ও পেট ব্যথার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে এই দু’টি গ্রামের কমবেশি শতাধিক বাসিন্দা চিকিৎসা করিয়েছেন। সব মিলিয়ে দু’টি গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। কত দিনে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে, প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশলডি গ্রামে প্রথমে ছ’টি উৎস থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। বাঘমুণ্ডির বিএমওএইচ অমরেন্দ্র রায় জানান, প্রথমে পানীয় জল ও নিত্য ব্যবহার্য জলের উৎসগুলি থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে গ্রামের আরও কয়েকটি উৎস থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, ওই জল ব্যবহারের পক্ষে নিরাপদ নয়। একই ভাবে লাগোয়া গোবিন্দডি গ্রাম থেকেও জলের একাধিক উৎসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানকার জলও পানীয় হিসেবে নিরাপদ নয় বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে গ্রামের মানুষ পানীয় জল হিসেবে কোন জল ব্যবহার করবেন? বিএমওএইচ বলেন, ‘‘আমরা এই দু’টি গ্রাম-সহ লাগোয়া জোরাডি, পোগরোডি, সিমালি, সারিডি, মার্চা ইত্যাদি গ্রামে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছি। ব্লিচিং ও অন্যান্য ওষুধপত্রও দেওয়া হচ্ছে। জল ফুটিয়ে পান করার জন্য বলা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, যাঁরা সচেতনতা বা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন, তাঁরা আক্রান্ত হননি।’’ তিনি জানান, প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। আপাতত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে এই দুই গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।