অনুব্রতের সভা রাজনগরে

চন্দ্রপুর বেসিক স্কুলের মাঠে প্রচুর মহিলা কর্মীদের উপস্থিতিতে রবিবার অনুব্রত বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়েছি তাঁতিপাড়া অঞ্চলের কিছু লোক মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। উষ্কানি দিচ্ছে। আমরা তাদের নাম জানি। কেউ ছাড় পাবে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৫৯
Share:

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনগরের শেষ মহিলা সম্মলেন থেকে এ বার মাও-তত্ব আওড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল। চন্দ্রপুর বেসিক স্কুলের মাঠে প্রচুর মহিলা কর্মীদের উপস্থিতিতে রবিবার অনুব্রত বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়েছি তাঁতিপাড়া অঞ্চলের কিছু লোক মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। উষ্কানি দিচ্ছে। আমরা তাদের নাম জানি। কেউ ছাড় পাবে না।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ধরে রাখতে হয়েছে বুথ স্তরের কর্মী সম্মেলন। হয়েছে ব্রাহ্মণ সম্মেলন, মৌলবি সম্মেলেন, আদিবাসী সম্মেলেনও। বাকি ছিল প্রতিটি ব্লকে আলাদা করে দলের মহিলা সেলকে উজ্জীবিত করা। ৫ ফেব্রুয়ারি দুবরাজপুর থেকে সেই কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেহেতু পঞ্চাশ শতাংশ মহিলাদের। নির্বাচনে তাঁদের গুরুত্ব যে পুরুষদের সমান, তা বোঝাতেই ওই সম্মেলন।

কিন্তু সেই সভায় মাওবাদী প্রসঙ্গ উঠে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

বিরোধী শিবিরের দাবি, মাস তিনেক আগে চন্দ্রপুর অঞ্চলের তাঁতিপাড়ায় মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপি সভা করেছিল। পাল্টা সভা করে তৃণমূলও। কিন্তু রাজনগরের এই অংশে বিশেষ জোর দেওয়ার উদ্দেশ্যেই শেষ মহিলা সম্মেলনেও সেই চন্দ্রপুর থানা বাছা হয়েছিল। বিজেপির দাবি, এই অঞ্চলে তাদের শক্তিবৃদ্ধির জন্যই মাওবাদী তকমা দিয়ে কিছু লোককে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেকায়দায় ফেলার কৌশল করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন