Anubrata Mondal Birthday

৬৫-তে পা দিয়ে প্রথম বার কেক কাটলেন কেষ্ট! লাজুক হেসে বললেন, জীবনে এ সব হয়নি, আজ মেয়ে বলল...

জন্মদিনে স্পেশ্যাল খাওয়াদাওয়া? তৃণমূল নেতা আঙুলের কর গুনে বলেন, ‘‘ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, ফুলকপি-আলু দিয়ে মাছের ঝোল, পোস্তর বড়া, বাঁধাকপির চচ্চড়ি খেয়েছি। পটল চিংড়ি ছিল। চিংড়ি তো আমি খাই না। পটল খেয়েছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৩
Share:

৬৫ বছরে পা অনুব্রত মণ্ডলের। কেক-মিষ্টি নিয়ে হাজির কর্মী-সমর্থক এবং শুভানুধ্যায়ীরা। —নিজস্ব চিত্র।

একটা নয়, ৬৫-তে পা দিয়ে একের পর এক কেক কাটলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বস্তুত, এই প্রথম বার কেক কেটে ঘটা করে জন্মদিন পালন করলেন তিনি। পরিবার এবং দলের লোকজনের শুভেচ্ছায় লজ্জাবনত ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের ‘কেষ্ট’ বললেন, ‘‘জীবনে কখনও এ সব করিনি। আজ সকালবেলা মেয়ে বলল, ‘বাবা আজ তোমার জন্মদিন।’ তার পর এই সব...।’’ বলতে বলতে আবার স্মিত হাসি।

Advertisement

২১ নভেম্বর, শুক্রবার সকাল থেকেই কেষ্টর বাড়ি থেকে বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে ভিড়। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে ঘর। ‘দাদা’র জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হচ্ছেন একের পর এক পুরুষ এবং মহিলা। আসছে একের পর এক বড় বড় এবং নানা ফ্লেভারের কেক। কোনও কেকের উপরে লেখা, ‘কেষ্টদা শুভ জন্মদিন’, কোনওটায় লেখা, ‘বিগ বস’, ‘দাদা’, ‘কিং অফ বীরভূম।’

সকালে কেষ্টর একমাত্র কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের উদ্যোগে নিচুপট্টির বাড়িতেই কেক কাটেন তৃণমূলনেতা। বিকেলে তিনি হাজির হন বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে। সেখানে অনুগামী এবং সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়ে লজ্জা পেয়ে যান কেষ্ট। সকলের সামনে আবার কয়েক দফায় কেক কাটা হল। ‘বার্থ ডে বয়’ বলেন, ‘‘কর্মীদের তো প্রচণ্ড উৎসাহ। ওরা সকলে খুব ভাল।’’ লাজুক হেসে কেষ্টর সংযোজন, ‘‘আমার জন্মদিন, আমিই জানতাম না। সকালে মেয়ে বলল, ‘বাবা, আজ তোমার জন্মদিন।’ আসলে জন্মদিন কোনও দিন পালিত হত না। আজ সকলে করল। আমি কখনও কেক-ও কাটিনি। আজ শিক্ষা সেলের তরফেও একটা বিরাট কেক নিয়ে এসেছে। খুব ভাল লাগল। ঈশ্বরকে বলব, সকল যেন খুব ভাল থাকে।’’

Advertisement

অন্যান্য বছর কেষ্টর জন্মদিনে ফল-মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির হতেন নেতা-কর্মী এবং সমর্থকেরা। এ বার যোগ হয়েছে কেক। অনুব্রত জানান, তাঁদের বাড়িতে জন্মদিনে কেক কাটার রেওয়াজ নেই। এ বার সকলে উদ্যোগ নিয়ে কেক এনেছেন। তাই ‘না’ করেননি। বলেন, ‘‘আজ অনেকগুলো কেক কেটে ফেলেছি।’’

জন্মদিনে স্পেশ্যাল খাওয়াদাওয়া? তৃণমূল নেতা আঙুলের কর গুনে বলেন, ‘‘ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, ফুলকপি-আলু দিয়ে মাছের ঝোল, পোস্তর বড়া, বাঁধাকপির চচ্চড়ি খেয়েছি। পটল চিংড়ি ছিল। চিংড়ি তো আমি খাই না। পটল খেয়েছি। তার পর মাছের মাথা দিয়ে তরকারি ছিল। পায়েস হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement