ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে সেই গাড়ি। বুধবার সকালে মুরারইয়ের চাতরায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
উপ-নির্বাচনে বিরোধীদের আটকাতে শাসকদল সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। সেই অভিযোগ তোলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। বুধবার সকালে মুরারই ১ ব্লকের চাতরার ওই ঘটনায় পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল অবশ্য হামলার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে।
এ দিন ঘটনার পরে জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মির অভিযোগ করেন, চাতরা পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা প্রার্থীর সমর্থনে এ দিন এলাকায় মিছিল ছিল। সে জন্য গাড়িতে চেপে কংগ্রেস কর্মীরা আসছিলেন। পথে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের পথ আটকে মারধর করে। গাড়িটিকে ভাঙচুর করে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে ফেলে দেয় বলে তাঁরল দাবি। কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মুরারইয়ের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘এ দিন চাতরায় গরুর হাট থাকে। তাই ওই রাস্তায় প্রচুর গরু চলাচল করে। কংগ্রেসের লোকজন ভর্তি গাড়িটি একটি গরুকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়েছে বলে শুনেছি। আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলের ত্রিসীমানায় ছিল না।’’ তাঁর অভিযোগ, এ দিন পুলিশের সামনেই লাঠি নিয়ে মিছিল করেছে কংগ্রেস।
সোমবার রাতেই ওই কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রার্থীকে ভয় দেখানো ও মুরারই কংগ্রেস কার্যালয়ে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে দাবি ছিল তৃণমূলের। বুধবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বিনয়বাবু বলছেন, ‘‘আমরা সত্যি বলছি কি না নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই তো প্রমাণিত হবে।’’ জিম্মির পাল্টা বক্তবয, ‘‘এই আমলে পুলিশের তদন্তের নিরপেক্ষতা আছে নাকি? তারা কাদের হয়ে কথা বলে গোটা রাজ্যের মানুষ এত দিনে জেনে গিয়েছেন।’’ পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের ঘটনায় দু’পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।