Bankura Municipality

দখল জমি উদ্ধারে তৎপর পুরসভা

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, পাঁচবাগা মোড় থেকে গন্ধেশ্বরী সেতু পর্যন্ত কম-বেশি ছ’কিলোমিটার বাইপাস এলাকায় সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। গন্ধেশ্বরী সেতুর দিক থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৪৭
Share:

অস্থায়ী নির্মাণ গড়ে চলছে দোকান। বাঁকুড়া-দুর্গাপুর বাইপাসের পাশে লক্ষ্যাতড়া শ্মশান সংলগ্ন এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়া শহরের বাইপাস এলাকার জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। ইতিমধ্যে এ নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে পুরসভার তরফে। বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, “শহরের বাইপাস এলাকার জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ উঠছে। এ ব্যাপারে সমীক্ষা শুরু করেছি আমরা। দখল হয়ে যাওয়া জমি চিহ্নিত করে তা পুনরুদ্ধার করা হবে।”

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, পাঁচবাগা মোড় থেকে গন্ধেশ্বরী সেতু পর্যন্ত কম-বেশি ছ’কিলোমিটার বাইপাস এলাকায় সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। গন্ধেশ্বরী সেতুর দিক থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে লক্ষ্যাতোড়া মহাশ্মশান লাগোয়া এলাকা পার করে পুরসভার প্রাতর্ভ্রমণকারীদের উদ্যান পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ হয়েছে।

পুরবাসীর একাংশের অভিযোগ, বাইপাসের দু’পাশে পুরসভার জমি দখল করে কোথাও ঘরবাড়ি, কোথাও বা দোকান বানানো হয়েছে। বেশ কিছু অস্থায়ী কাঠমোও গড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাইপাসের পাশে পুরসভার জমি দখল সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ ভাবে রাস্তার পাশের জমি দখল হয়ে যাওয়ায় লোকজনের হাঁটাচলার জায়গা কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। বাধ্য হয়ে বাইপাসের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করায় দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানাচ্ছেন অনেকে। পুরসভা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করুক, উঠেছে দাবি।

Advertisement

বাঁকুড়া শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর দিলীপ আগরওয়ালের কথায়, “সকাল-সন্ধ্যায় শহরের স্বাস্থ্য সচেতন বহু মানুষ বাইপাসে হাঁটাচলা করেন। তবে দখলদারির জেরে তাঁদের হাঁটার পরিসর ক্রমে ছোট হয়ে পড়ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে। কাটজুড়িডাঙা রেলগেটে ফ্লাইওভার তৈরির কাজ চলায় এই মুহূর্তে বাইপাসে বড় যানবাহনের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ফ্লাইওভার তৈরি হলে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে। অবিলম্বে বাইপাসের পাশের জমি দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ দরকার।”

তিনি আরও জানান, একাধিক বার পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে বাইপাস লাগোয়া জমি উদ্ধারে পদক্ষেপের দাবি পুরকর্তাদের কাছে তুলেছেন। তাঁর দাবি, “জমি দখলমুক্ত হলে দুর্ঘটনা এড়ানোই শুধু নয়, ব্যবসায়িক কাজেও পুরসভা তা ব্যবহার করতে পারে।” উপপুরপ্রধান হিরণ চট্টরাজ জানান, জমি দখলমুক্ত হলে ওই এলাকায় কিছু উদ্যান, বিশেষ পরিকাঠামোযুক্ত চড়ুইভাতি করার জায়গা গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে পুরসভার। নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত করতেও ওই জমি বড় ভূমিকা নেবে। তিনি বলেন, “বাইপাসের পাশের জমি কিছু জায়গায় দখল হয়ে থাকায় নিকাশি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। ওই জমি উদ্ধারের পরে নানা প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন