অন্যের বিপিএল নম্বর ব্যবহার করে ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল এক প্রাক্তন উপভোক্তার বিরুদ্ধে। রামপুরহাটের দখলবাটি পঞ্চায়েতের কুতুবপুর গ্রামের ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃণমূল সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদেরও। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনার তদন্তে গ্রামে গিয়ে অভিযুক্ত উপভোক্তাকে সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিডিও।
রামপুরহাট ১ বিডিও নীতিশ বালা বলেন, ‘‘তদন্তে প্রমাণ মিলেছে, ভুলি মাল নামে এক উপভোক্তা ২০১২–’১৩ আর্থিক বর্ষে ওই প্রকল্পে টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। সেই তিনি-ই আবার ২০১৫–’১৬ আর্থিক বর্ষেও বুলি মাল নামে অন্য এক উপভোক্তার বিপিএল আইডি নম্বর ব্যবহার করে টাকা তুলেছেন।’’ পাশাপাশি অভিযোগকারী তথা একই গ্রামের বাসিন্দা বুলি মাল যে ভাঙা চালা ঘরে তারপোলিনের ছাউনির তলায় বাস করছেন, তার-ও প্রমাণ তদন্তে মিলেছে বলে বিডিও জানিয়েছেন। তবে, কীভাবে এবং কী করে বিষয়টি প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেল, তার উত্তর দিতে পারেননি বিডিও।
এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ভুলিদেবীকে প্রকল্পের ৭০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি দখলবাটি পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক নন্দদুলাল মালকে ইন্দিরা আবাস যোজনার ফাইল দেখভাল করার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বিডিও। আজ, বুধবার নন্দদুলাল এবং পঞ্চায়েতের রিসোর্স পার্সন চম্পা মণ্ডলকে দফতরে ডেকে পাঠিয়েছেন বিডিও। যদিও অভিযোগের সত্যতা মিললেও শুধু টাকা চেয়েই প্রশাসন কেন অভিযুক্তদের আড়াল করছে, সে প্রশ্ন অবশ্য উঠতে শুরু করেছে। ভুলিদেবীর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কেন প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হল না? বিডিও-র বক্তব্য, ‘‘এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। বুধবার সবাইকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এরই মধ্যে যে মহিলা এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করেছেন, সেই বুলিদেবীকে (যাঁর বিপিএল নম্বর ব্যবহার করেছেন ভুলিদেবী) গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। কেনও ইন্দিরা আবাসে নয়? বিডিও বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পে পঞ্চায়েত থেকে বুলিদেবীর নাম পাঠানো হয়নি।’’