—নিজস্ব চিত্র।
শাসকদলের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন জায়গায়া মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। তবে শুক্রবার পর্যন্ত মোট যত মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে, তার হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে— সংখ্যার বিচারে বিজেপি-ই এগিয়ে রয়েছে।
কী রকম? জেলা প্রশাসনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে বিজেপি মোট মনোনয়ন জমা করেছে ১৩৭৫টি আসনে। তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে ১৩১৩টি আসনে। বামফ্রন্ট ৬২৭টিতে। অনেকটাই পিছিয়ে কংগ্রেস। শুক্রবার পর্যন্ত তাদের মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ১৯০টি। তবে এখনও সময় পড়ে রয়েছে। শনিবারের হিসাব কষা বাকি। মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে সোমবারও। বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, বাধা না এলে সময়ের মধ্যেই তাঁরা সব আসনে
প্রার্থী দেবেন।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে উপরে রয়েছে জেলা পরিষদ। পুরুলিয়ায় জেলা পরিষদের ৩৮টি আসন। তার মধ্যে শুক্রবারই ৩৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে দিয়েছে বিজেপি। সেখানে তৃণমূল দিয়েছে মাত্র পাঁচটিতে। কেন? জেলা তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরে জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা মোটের উপরে ঠিক হয়ে গেলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সেটা এখনই সামনে আনছে না দল। তবে দল সূত্রের খবর, জেলা পরিষদে যাঁরা প্রার্থী হবেন তাঁদের মনোনয়ন জমা করতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো।
পঞ্চায়েত সমিতিতেও একই ছবি। তৃণমূল ১৮৪টি আসেন প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি ২৩৫টিতে। গ্রাম পঞ্চায়েতে অবশ্য এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার পর্যন্ত ১১২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তারা। সেখানে বিজেপির মনোনয়ন জমা পড়েছে ১১০৭টি।
কাশীপুর ছাড়া জেলার বাকি উনিশটি ব্লকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেনি। সেই কথা উল্লেখ করে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মে-র গোড়ায় নির্বাচন হতে পারে ধরে নিয়ে আমরা নভেম্বর থেকেই বুথ স্তরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলাম। তাই মনোনয়নের দিন ফুরনোর আগেই অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, বাকি দু’দিনে সমস্ত আসনের জন্যই তাঁদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা পড়ে যাবে।
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘জেলার বেশির ভাগ পঞ্চায়েতেই আমরা ক্ষমতায় রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই অনেকে প্রার্থী হতে চাইছেন। একটি আসনের জন্য অনেকের নাম উঠে আসছে। দলের মধ্যে আলোচনা করে প্রার্থী স্থির করতে গিয়ে দেরি হচ্ছে।”