বরণ: বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে প্রধান-উপপ্রধানের নাম ঘোষণা হয়েছিল। তার পরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের। রবিবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহ সভাধিপতির নাম ঘোষণা করা হল। তাতে ফের সভাধিপতি হলেন বিকাশ রায়চৌধুরী। সহ সভাধিপতি হন ময়ূরেশ্বর ১ থেকে নন্দেশ্বর মণ্ডল।
রবিবার, বোলপুরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে নাম দুটি ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের ৪২টি জেলা পরিষদের সব জয়ী প্রার্থীরাই এ দিন উপস্থিত ছিলেন। যদিও জেলা
পরিষদের নয় কর্মাধ্যক্ষের নাম ঘোষণা করা হয়নি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ তারিখ জেলা পরিষদ গঠন করবে তৃণমূল।
এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে জেলার ত্রি-স্তরেই বিপুল প্রাধান্য থেকেছে শাসকদল তৃণমূলের। জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের প্রতিটি, ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির সব ক’টি এবং ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ার পথে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কার্যত বিনা লড়াইয়ে যুদ্ধ জিতে যাওয়ায় দলের নীচুস্তরে নিয়ন্ত্রণ আলগা হতে পারে। বাড়তে পারে কোন্দলের সম্ভাবনা। সেখানে এক বছরের মাথায় মূল্যায়নের তাগিদ থাকায় কাজে গতি আসতে পারে, এই কথা চিন্তা করে প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সভাপতি, সহ সভাপতিদের নাম ঘোষণার দিনই জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, ‘‘আমি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব। দলের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে জানাব কিংবা জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিমকে জানাব। দুর্নীতির যোগ মিললে এক বছর পরে তাঁকে সরিয়ে
দেওয়া হবে। দলকে জানিয়েই সব করা হবে। এ বিষয়ে প্রত্যেককে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’’
সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে রবিবারও। অনুব্রত বলেন, ‘‘উন্নয়ন না করলে, মানুষকে পরিষেবা না দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে রাখবেন না। বিধায়ক, সভাধিপতি, ব্লক সভাপতি, শহর সভাপতি কারোরই অন্যায় করা চলবে না।’’ জেলা
সভাপতি জানান, বিগত পাঁচ বছরে রাস্তা নিয়ে পুরোদমে কাজ হয়েছে। এ বার দল ঠিক করেছে, আগামী পাঁচ বছর জেলা পরিষদ কাঁদরগুলি নিয়ে কাজ করবে। এক গ্রামের মানুষ যাতে খুব সহজেই আর এক গ্রামে পৌঁছে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করার জন্য আগে কাঁদরগুলিকে ঠিক করতে হবে। পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পর্যন্ত জেলা পরিষদকে দায়িত্ব নিয়ে এটি করতে হবে বলে জানান তিনি। এ দিকে পুনরায় জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিকাশবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘দল আমার উপরে আস্থা রেখে আবার এই পদে রেখেছে। সেই আস্থা বজায় রাখব। জেলা পরিষদের কাজও হবে অনেক।’’