নদী-দূষণ রুখতে যন্ত্র প্রতিমার বিসর্জনে 

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিমাগুলির কাঠামো বিসর্জনের পরে নদীর জলে পড়ে থাকত। তাতে খড় পচে দূষণ ছড়ায় জলে। জলদূষণ রুখতে পদক্ষেপ করে পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

বীরভূম শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০১:১৮
Share:

প্রযুক্তি: ক্রেনের সাহায্যে প্রতিমা বিসর্জন। সাঁইথিয়ায়। নিজস্ব চিত্র

সাঁইথিয়ায় ময়ূরাক্ষী নদীতে দূষণ রুখতে যন্ত্রের সাহায্যে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করল পুরসভা।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিমাগুলির কাঠামো বিসর্জনের পরে নদীর জলে পড়ে থাকত। তাতে খড় পচে দূষণ ছড়ায় জলে। জলদূষণ রুখতে পদক্ষেপ করে পুরসভা।

বুধবার সকাল থেকেই সাঁইথিয়ার সমস্ত পুজো কমিটি পদযাত্রা করে প্রতিমা বিসর্জনের পথে নিয়ে যায়। সব শোভাযাত্রা পৌঁছয় সাঁইথিয়া ফেরিঘাটে। সেখানে পুরসভার উদ্যোগে ক্রেনে প্রতিমা বেঁধে জলে ফেলা হয়। তার পরেই কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলা হয়।

Advertisement

পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত জানান, মাটি ছাড়িয়ে নিয়ে খড় ও কাঠামো নদী থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। ক্রেনে প্রতিমা বিসর্জন করানোর ব্যবস্থা হওয়ায় সহজেই সেই পর্ব শেষ হচ্ছে।

অন্য দিকে মহম্মদবাজারের রঘুনাথপুর গ্রামে চারটি দুর্গাপ্রতিমা নিয়ে দশমীতে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে মেলা। ভিড় জমান বহু মানুষ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চারটি পাড়ার প্রতিমা রঘুনাথপুর মাঠে নিয়ে এসে রাখা হয়। রাত ১১টার পরে প্রতিমা নিয়ে গিয়ে নিরঞ্জন করা হয়। ওই সময়ের মধ্যেই বসে মেলা।

একই পুকুরে একসঙ্গে ঘট ভরার মতোই নানুরের সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন হল একই সঙ্গে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে নানুরের সমস্ত পুজোর ঘট একসঙ্গে ভরা হয় রামী-চণ্ডীদাসের স্মৃতিবিজরিত দ্যাওতা পুকুরে। ঘট ভরার পাশাপাশি গত বছর থেকে ওই পুকুরেই একই সঙ্গে বিসর্জনও চালু হয়। সেই মতো বুধবার সর্বজনীন এবং পারিবারিক মিলিয়ে ২২টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জন কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, শোভাযাত্রা দেখার সুবিধা ও সুষ্ঠু ভাবে বিসর্জনের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দশমীর রাত থেকেই জেলা সদরে শুরু হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। সদরের অধিকাংশ পারিবারিক পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন দশমীর রাতেই হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যায় শহরের বেশ কয়েকটি ক্লাবের প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। সন্ধ্যায় সিউড়ির জোনাকি ক্লাব, স্বাধীন ভারত ক্লাব, ত্রাণসমিতি, বর্ণালী-সহ কয়েকটি বড় পুজো কমিটি শোভাযাত্রা করে প্রতিমা বিসর্জন দেয়। ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। প্রতিটি ক্লাবকে শোভাযাত্রার জন্য পৃথক পৃথক রুটও করে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন