অফিস ঘেরাও করার নিদান দিলীপের

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধানদের নাম ধরে বিডিওদের কাছে সরব হতে নির্দেশ দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার পুরুলিয়া হরিপদ সাহিত্য মন্দিরের সভাঘরে জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও ৪৪টি মণ্ডল ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্বকে নিয়ে কর্মিসভায় এই বার্তা দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৮ ০২:১৫
Share:

মঞ্চে: পুরুলিয়া হরিপদ সাহিত্য মন্দিরের সভাঘরে কর্মিসভায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে গ্রামাঞ্চলে আন্দোলনে জোর দিচ্ছে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাওয়ের পরে এ বার তাদের লক্ষ্য ব্লক অফিস। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধানদের নাম ধরে বিডিওদের কাছে সরব হতে নির্দেশ দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার পুরুলিয়া হরিপদ সাহিত্য মন্দিরের সভাঘরে জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও ৪৪টি মণ্ডল ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্বকে নিয়ে কর্মিসভায় এই বার্তা দেন তিনি।

Advertisement

বক্তব্যের মাঝে দিলীপবাবু কর্মীদের কাছে জানতে চান— ‘‘জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও হয়ে গিয়েছে?’’ জবাব আসে, ‘‘হ্যাঁ’’। এরপরেই দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এ বার ব্লক অফিস ঘেরাও করতে হবে। কী কী চুরি করেছে, কোন রাস্তা অর্ধেকটা হয়েছে, কোনটা হয়নি, তা বলা আর নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করা চাই। প্রধানদের নাম করে দুর্নীতির কথা তুলে ধরুন। হাজার হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছেন মোদী, আর নাম কিনছেন দিদি!’’

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলা পাকানোই ওদের কাজ।’’

Advertisement

দিলীপবাবু বুথেও কর্মীদের নজর দিতে বলেছেন। তিনি জানান, প্রতিটি বুথ কমিটির কর্মীদের ভোটার তালিকা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। দলের কথা প্রচারের নির্দেশও দেন তিনি। দিলীপবাবু কর্মীদের বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে দু’পাতা করে ভোটার লিস্ট নিন। মানে দশ-বারোটি বাড়ি হবে। বাড়ির লোকজন কোন দলের সমর্থক তা ভুলে গিয়ে কথা বলুন।’’ একই সঙ্গে তিনি প্রতি গ্রামে আসা-যাওয়ার পথে অন্তত পাঁচটি দেওয়াল লেখা এবং দলের পতাকা ওড়ানোর নির্দেশও দেন। তাঁর দাবি, এতে মনে হবে, ওই গ্রামে বিজেপি আছে। তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত বুথে প্রার্থী দিতে হবে। সংরক্ষণের কারণে কোনও গ্রামে প্রার্থী না পাওয়া গেলে পাশের গ্রাম থেকে প্রার্থী দিতে হবে।’’

আগামী ভোটের আগে এলাকায় মোটরবাইক মিছিল করার জন্য এখন থেকেই গ্রাম-পিছু কতগুলি করে মোটরবাইক হিসেবের মধ্যে রাখতে হবে, তাও কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মনে রাখবেন সকলেই শক্তিশালীর সঙ্গে থাকতে চায়। এত দিন আমরা গ্যালারিতে ছিলাম, অন্যেরা খেলত। এ বার আমরা মাঠে নেমেছি। অন্যদের দেখতে হবে। নির্বাচন কাকে বলে এ বার আমরা টের পাওয়াব।’’ প্রতিটি মণ্ডল সভাপতিকে অন্তত একটি করে পঞ্চায়েত জেতানোর লক্ষ্য স্থির করে দেন রাজ্য সভাপতি।

দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘২২ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল বুথ স্তরে এবং ৭ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত অঞ্চল স্তরে সম্মেলন করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন