প্রতীকী ছবি।
দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক ডাকা হয়েছিল বেসরকারি লজে। কিন্তু, পুলিশের বাধায় মঙ্গলবার বিষ্ণুপুরে বিজেপির সেই বৈঠক বাতিল হয়ে গেল। শেষে বিষ্ণুপুর শহরেই কব্বরডাঙায় দলীয় কার্যালয়ের ছাদে বৈঠকে বসেন নেতৃত্ব। এই ঘটনায় ফের পুলিশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে বিরোধীদের সভা ভন্ডুল করার অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ জানান, দলের আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতেই এ দিন তাঁরা বিষ্ণুপুর পুরভবনের কাছে একটি বেসরকারি লজের হলঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু, এ দিন সকালে লজের মালিক জানান, পুলিশের আপত্তিতে সেখানে বৈঠক করা যাবে না।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই লজের সামনে বিজেপি নেতা-কর্মীদের জটলা। বিশাল পুলিশ কর্মী নিয়ে হাজির বিষ্ণুপুর থানার আধিকারিকেরাও। স্বপনবাবু দাবি করেন, ‘‘আগেও ছ’-সাত বার আমরা এই লজে দলের বৈঠক করেছি। তখন বাধা দেওয়া হয়নি। এ দিন দলের নেতা মুকুল রায় আসছেন শুনে কেন অনুমতি নেওয়া হয়নি, এই দোহাই তুলে বৈঠক বানচাল করে দিল বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন!’’
লজের মালিক বিশ্বরূপ গোস্বামী বলেন, ‘‘এ দিন সকালে পুলিশ এসে লজে রাজনৈতিক সভা করার অনুমতি রয়েছে কি না জানতে চায়। কিন্তু, অনুমতি যে নিতে হয় তা জানতাম না। আগেও ওই দল এখানে বৈঠক করেছে। পুলিশের আপত্তির কথা ওই দলের নেতাদের জানিয়েছি। তাঁরাও আর বৈঠক করেননি।’’
এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) সুকোমলকান্তি দাস বলেন, ‘‘একে সভা করার অনুমতি ছিল না। তার উপরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির সম্ভাবনা ছিল। সে কারণে ওই লজে সভা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল।’’
ক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থকেরা দলীয় পতাকা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ওই লজের সামনে শহরের মধ্যে প্রধান রাস্তায় বিক্ষোভ অবস্থানে বসে পড়েন। রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়ে নাজেহাল হন কাজে বার হওয়া পথচারীরা। মিনিট ২০ কাটিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব মিছিল করে কব্বরডাঙায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠকে বসেন।
দুপুরে রাজ্য নেতৃত্ব মুকুল রায় বিষ্ণুপুর দলীয় কার্যালয়ের ছাদে বৈঠকে যোগ দেন। তিনিও দাবি করেন, ‘‘এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) ও জেলা তৃণমূল সভাপতি আমাদের বৈঠক ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, তাঁরা সফল হননি। দলীয় কার্যালয়ে সমর্থকদের ভিড়ই তা বলে দিচ্ছে।’’
তাঁর আরও দাবি, লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর কেন্দ্র বিজেপি দখল করবে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিজেপির তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেছেন।