বাঁকুড়া থানার সামনে বিজেপি-র বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
কলকাতায় বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুই জেলার বিভিন্ন ব্লকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল বিজেপি।
এ দিন সকালে বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে বাঁকুড়া সদর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মীরা। দলের জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের নেতৃত্বে রাইপুর থানার সামনেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। সুভাষবাবুর দাবি, “কলকাতার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। রাজ্যের বিরোধীদের কোনও কর্মসূচি নিতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা চাই বিজেপি কর্মীদের উপর যারা হামলা চালাল, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক।” বিবেকানন্দবাবু জানান, বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা, সারেঙ্গা, সিমলাপাল, গঙ্গাজলঘাটি, হিড়বাঁধ, খাতড়াতেও দলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ওন্দা ব্লকের বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রতনপুরে প্রতিবাদ মিছিল করেন দলীয় কর্মীরা।
জোর করে পুরলিয়ায় যুব মোর্চার মোটরবাইক মিছিল আটকে দেওয়া এবং কলকাতায় যুব মোর্চার কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা— এই দুই ঘটনার প্রতিবাদে পুরলিয়ার সমস্ত থানার সামনেও শনিবার বিক্ষোভ অবস্থান করেছে বিজেপি। পরে দলের তরফে থানাগুলিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার বাইশটি থানায় এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে জেলার দু’টি মহিলা থানায় কোনও কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। বিকেলে দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পুরলিয়ার পুলিশ সুপারে সঙ্গে দেখা করে যুব মোর্চার মিছিল আটকানো-সহ পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেয়।
বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বিজেপি-র যুব মোর্চার মোটরবাইক মিছিলে যোগ দিতে পুরুলিয়া শহর থেকে সদস্যরা মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিল। অভিযোগ, পুরুলিয়া শহর থেকে মিছিল শুরুর পরেই পুলিশ বিনা কারণে মিছিল আটকাতে শুরু করে। রঘুনাথপুর থানার হরিডি সেতু ও নিতুড়িয়া থানার সুভাষ সেতুর কাছে দীর্ঘ সময় মিছিল আটকে রাখা হয়। যুব মোর্চার অভিযোগ, মোটরবাইক থেকে দলের পতাকা খুলে দেয় পুলিশ। মোটরবাইকের নথি পরীক্ষা করে জরিমানা করা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত, গভীর রাতে পুরুলিয়ার যুব মোর্চার মিছিল বর্ধমানে পৌঁছয়।
শনিবার বিজেপি-র জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশ শাসকদলের নির্দেশে গণতান্ত্রিক কর্মসূচির উপরে জুলুম করছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে গোটা জেলা জুড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”