তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজি

একশো দিনের কাজে একটি পুকুর কাটাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলেরই দুটি গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে তেতে উঠল সাঁইথিয়ার বন্ধুরা গ্রাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০২:০৭
Share:

একশো দিনের কাজে একটি পুকুর কাটাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলেরই দুটি গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে তেতে উঠল সাঁইথিয়ার বন্ধুরা গ্রাম। শনিবার ভ্রমরকোল পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই গ্রামে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে একটি পুকুর কাটা শুরু হয়। তাই নিয়ে সন্ধ্যার দিকে ওই প্রকল্পের সুপারভাইজার সপ্তম বাগদির সঙ্গে বচসা হয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জয়দেব দাস বৈরাগ্যের। তারপরই মারপিট, শেষে বোমাবাজি শুরু হয়।

Advertisement

তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, দু’জনেই এলাকায় দলীয় কর্মী বলে পরিচিত। জয়দেববাবু তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতিতে ব্লক সভাপতি সাবের আলির গোষ্ঠীর অনুগামী হিসাবে পরিচিত। আর সুপারভাইজার সপ্তম লাভপুর বিধানসভা এলাকায় ছ’টি পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি প্রশান্ত সাধুর গোষ্ঠীর বলে একাংশের দাবি। রবিবার জয়দেববাবু অভিযোগ করেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপারভাইজার এবং তার অনুগামীরা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রতিবাদ করতে ওরা রড দিয়ে মারে। ঠেকাতে এলে মাকেও মারধর করে। তারপর বোমাবাজি করে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে সপ্তম বাগদি জানান, কাজে যোগ দেওয়ার জন্য জবকার্ডধারীদের জানাতে শনিবার ঢোল দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘ওরাই এলাকায় দাপট দেখাতে ঢোল দেওয়ার লোককে মারধর করে। প্রতিবাদ করালে ওরাই আমাদের উপরেও চড়াও হয়।’’ তাতে তিন জন আহত হয়ে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি বলেও অভিযোগ সুপারভাইজারের। ব্লক সভাপতি সাবের আলির দাবি, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্পর্ক নেই।’’ প্রশান্তবাবুও জানান, ভুল বোঝাবুঝি থেকে ওই ঘটনা। দু’পক্ষকে ডেকে সমস্যা মেটানো হবে। পুলিশ জানিয়েছে কোনও অভিযোগ হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন