প্রশাসনের নোটিস। (ডান দিকে) জোরকদমে চলছে অস্থায়ী সেতুর কাজ। আপাতত যাতাযাত এই পথেই। —নিজস্ব চিত্র
অবশেষে ইলামবাজারে অজয়ের সেতু সংস্কারে হাত দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। সে কারণে আজ, শুক্রবার থেকে চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে সমস্ত রকমের যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। ওই রাস্তার সঙ্গে সংযোগকারী একাধিক রাস্তায় বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন বীরভূমের জেলাশাসক। ওই বার্তায় গাড়ি চালকদের এনএইচ টু-বি অথবা এনএইচ ৬০ হয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ছোট গাড়ি পারাপারের জন্য ওই রাস্তায় অস্থায়ী সেতু তৈরি হয়েছে।
সংস্কারের আট মাসের মধ্যেই ফাটল দেখা দেওয়ায় ইলামবাজারের অজয় সেতুতে চলতি বছরের ১১ মে থেকে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে জেলা প্রশাসন। এত দিন বন্ধ ছিল মালবাহী গাড়ির চলাচল। ছোট গাড়ির গতি কমানোর জন্যও নির্দেশিকা ছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় ১৯৬২ সালের ১৭ জুন ওই সেতুর উদ্বোধন করেন। বীরভূম-সহ আশেপাশের কয়েক’টি জেলা এবং একাধিক রাজ্যের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ওই সেতু। পাঁচ দশকেরও বেশি পুরনো এই সেতু দিয়ে দিনে কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। ইদানীং গাড়ি চলাচল বেড়েছে। স্বাভাবিক কারণে সেতুর উপরে চাপও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে গাড়ি চালক ও মালিকদের অভিযোগ, নজরদারির অভাবে দিনের পর দিন সেতুর নীচ থেকে মাফিয়ারা বালি চুরি করেছে। ফলে সেতুর থাকা পিলার দুর্বল হয়ে পড়ছে। দ্রুত সেতুর সংস্কার দাবি করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেতু সংস্কারের জন্য দিন পনেরো কোনও গাড়ি চলাচল করেনি। তখনও সংস্কার করা হয়েছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দার প্রশ্ন, ‘‘তা হলে কেমন সংস্কার করা হল যে আট মাস যেতে না যেতেই সেতুতে ফাটল দেখা দিল।’’ এ বার ঢেলে সংস্কারের দাবি তুলেছেন তাঁরা। বালি তোলার উপরে নজরদারির দাবিও উঠেছে।
সেতু বন্ধ থাকলেও ছোট গাড়ি ও পথচারীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন। জেলার দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এস সরকারের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে সেতু সংস্কারের তোড়জোড়। বোলপুরের মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা বলেন, “সেতুতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তা ব্যবহারকারীরা এন এইচ টু-বি বা এন এইচ ৬০ ব্যবহার করতে পারেন।”