আলু, ধান কেনার দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া
সরকারি সহায়ক মূল্যের থেকে আরও বেশি দামে চাষিদের কাছ থেকে আলু ও ধান কেনা এবং রানাঘাট-কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে খাতড়ায় রাস্তায় নামল সিপিএম। এই দাবিতে মঙ্গলবার খাতড়ার পাম্পমোড়ে বাঁকুড়া-রানিবাঁধ রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতির নেতৃত্বে এ দিন সকাল সওয়া ১১টা থেকে কিছুক্ষণের জন্য এই অবরোধ চলে। অজিতবাবু বলেন, “চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ বর্তমানে বন্ধ। বাজারে আলুরও দাম নেই। ফলে আলু চাষ করে চাষিরা চরম আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন। তাই আমরা ধানের সহায়ক মূল্য প্রতি কুইন্টাল ১৩৬০ টাকা করার দাবি জানিয়েছি।” এই অবরোধের জেরে জঙ্গলমহলের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় কিছুক্ষণ গাড়ি চলাচল করেনি। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে এসডিপিও (খাতড়া) কল্যাণ সিংহ রায়, আইসি (খাতড়া) রমেন্দ্রনাথ সিংহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দেন। খাতড়ার বিডিও অনুসূয়া ভট্টাচার্য বলেন, “সরকারি দামে সমবায় সমিতির মাধ্যমে পাঁচ মেট্রিক টন আলু কেনা হয়েছে। আরও আলু কেনা হবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন চালকল ও অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ নিগমের তরফে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ মেনেই সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান ও আলু কেনা হয়েছে। এই দু’টি পণ্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানোর ক্ষমতা স্থানীয় স্তরে কারও নেই। বিষয়টি রাজ্যস্তরের। তাই এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের করণীয় কিছু নেই।
বিশ্বভারতীকে পঁচিশ কোটি বাংলাদেশের
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন
প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবন। নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের জন্য মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের হাতে পঁচিশ কোটি টাকার চেক তুলে দিল বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় দফতরের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশের অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব মহম্মদ হেলালউদ্দিন ওই চেক উপাচার্যের হাতে তুলে দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহ-শিক্ষা সচিব জিকরুর হেজা খানাম, সহকারী মুখ্য স্থপতি মহম্মদ আলি আফরোজ দেওয়ান প্রমুখ। বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত বলেন, “বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ২৫ কোটি টাকার চেক দিয়েছে। ওই ভবনের কাজ দ্রুত শুরু হবে।”প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বাংলাদেশ ভবনের নকশা উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের হাতে তুলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা গহর রেসবি এবং তাঁর দফতরের আধিকারিকেরা ২০১৪ সালের ১০ মার্চ বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের সঙ্গে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবন নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক করেছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে খবর, প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবনে থাকবে একটি প্রদর্শশালা, গবেষণা কেন্দ্র, আর্ট গ্যালারি, বিশ্রামাগার, এবং বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের নামে একটি স্টাডি সেন্টার। বাংলাদেশের অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব মহম্মদ হেলালউদ্দিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ভবন নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি চাইছেন, বিশ্বভারতীতে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ ভবনের কাজকর্ম যাতে শুরু।”
জল নিয়ে নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট
গরম পড়তেই মুরারই থানার রাজগ্রাম এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিল। সোমবার এলাকাবাসীর একাংশ রাজগ্রাম পূর্ববাজার এবং পশ্চিমবাজার এলাকায় পানীয় জলকষ্টের ব্যাপারে মুরারই ১ ব্লকের বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে গরম পড়তেই বাড়ির কুয়ো এবং নলকূপের জল স্তর অনেক নীচে নেমে যায়। এলাকার পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পে রাজগ্রামের যে রিজার্ভার আছে, তাতে জল ভর্তি হয় না। রিজার্ভারটি বর্তমানে কোনও কাজে লাগে না। অথচ গরম পড়তেই এলাকায় তীব্র জলকষ্ট শুরু হয়। রাজগ্রাম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোবিন্দলাল বিশ্বাস বলেন, “পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে যাতে রাজগ্রাম এলাকার রিজার্ভার থেকে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ করা সে জন্য বিডিওর কাছে জানান হয়েছে।” মুরারই ১ ব্লকের বিডিও আবুল কালাম বলেন, “বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতিকে দেখতে বলা হয়েছে। বুধবার থেকে এলাকায় একটি জলট্যাঙ্ক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
বিজেপি থেকে তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট
বিজেপি-র প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের জেরে, মঙ্গলবার বিকালে পুরসভার ৬ , ৯ , ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতিরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে বিজেপি নেতাদের কয়েকজনের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রামপুরহাট পুরসভা নির্বাচন ঘিরে কোর কমিটির আহবায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “সোমবার বেশ কিছু কংগ্রেস কর্মীও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি তথা প্রার্থী শুভাশিষ চৌধুরী অবশ্য বলেন, “যারা তৃণমূলে গিয়েছেন তারা কেউ দলের পুরনো কর্মী নয়।”
জল কই?
ছবি সব্যসাচী ইসলাম।
পুরভোটের আগেই উদ্বোধন করে দেওয়া হয়েছিল নতুন পানীয় জলপ্রকল্পের। যদিও অভিযোগ, ওই প্রকল্পের জল পাচ্ছেন না রামপুরহাট পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার জলের দাবিতে স্মারকলিপি দিতে এসে বিদায়ী পুরপ্রধানের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মহিলারা। জলের দাবিতে পুরপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেন। বিদায়ী পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, “নতুন জল প্রকল্পের দু’টি বোরিং খারাপ হয়েছিল। আজকে মেরামতি করা হয়েছে। আশা করা যায়, আজ থেকে ভাল ভাবে জলের জোগান পাওয়া যাবে।”