শহরের মধ্যেই চলছে খাটাল। তা থেকে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে বলে বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন। পুরুলিয়া শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিমটাঁড় এলাকার ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তীর কাছে অভিযোগ জানান। জেলাশাসক বিষয়টি পুরুলিয়া পুরসভাকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা।
মঙ্গলবার সকালে পুরসভার এক প্রতিনিধিদল ওই খাটাল পরিদর্শনে যায়। পুরসভার সাফাই বিভাগের আধিকারিক অর্জুন মাহাতো বলেন, ‘‘জেলাশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। এ দিন আমাদের প্রতিনিধিরা ওই খাটাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এখনও রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তিই এই খাটালটি চালান। বাসিন্দাদের বক্তব্য, খাটালের গরুদের মলমূত্রে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। অতিষ্ঠ হয়ে খাটাল লাগোয়া বাসিন্দা ঘরের জানলা, দরজা এঁটে থাকছেন। এরফলে দিনের বেলাতেও ঘরে আলো-বাতাস ঢুকছে না। দূষণের জন্য এলাকায় মশার উপদ্রবও বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, রাস্তার উপরে গরু বাঁধা থাকে। অপরিসর রাস্তায় গরু থাকার জন্য রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা অসুবিধায় পড়েন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা নীলিমা পরামাণিক, লক্ষ্মী গড়াই, উমা গড়াইদের অভিযোগ, ‘‘এই পরিবেশে কী বাস করা যায়? কী দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে আমরা বাস করছি তা আমরাই জানি।খাটাল মালিককে জানিয়েও লাভ হয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলরকে সমস্যার কথা সবই জানিয়েছি। অবস্থার কোনও হেরফের হয়নি। তাই আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’
এলাকার কাউন্সিলর বিভাস দাস বলেন, ‘‘এলাকার বাসিন্দারা খাটালের দূষণ নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করছিলেন। আমিও প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ জানিয়েছি।’’
অন্যদিকে যিনি খাটাল চালান, সেই শত্রুঘ্ন গোপের বক্তব্য, ‘‘আগে রাস্তার উপরে আমরা কিছু গরু বেঁধে রাখতাম। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের অসুবিধার কারণে এখন আমরা আর রাস্তার উপরে গরু বেঁধে রাখি না। এই খাটাল নিয়ে এখন আমরা কোথায় যাব?’’