Crime

অভিযান পর্যটক সেজে, ধৃত

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত জানুয়ারিতে, পুরুলিয়া-মানবাজার রাস্তায়। গোপন সূত্রে এসটিএফের কাছে খবর আসে, ওই রাস্তা দিয়ে কোনও গাড়িতে একটি বন্দুক পাচার করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৫:০৫
Share:

ধৃত। নিজস্ব চিত্র

পর্যটক সেজে গিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে লালগড় থানার বন্দুক উধাও কাণ্ডে অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করল ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ (এসটিএফ)। বুধবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে চিরঞ্জীবী ওঝা নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে।

Advertisement

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত জানুয়ারিতে, পুরুলিয়া-মানবাজার রাস্তায়। গোপন সূত্রে এসটিএফের কাছে খবর আসে, ওই রাস্তা দিয়ে কোনও গাড়িতে একটি বন্দুক পাচার করা হচ্ছে। গত ১২ জানুয়ারি কেন্দা থানা এলাকায় একটি সাদা গাড়ির পথ আটকানো হয়। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি ডাবল ব্যারেল বন্দুক। গ্রেফতার করা হয় চণ্ডী কর্মকার নামে এক জনকে। ঘটনায় কেন্দা থানায় একটি মামলাও রুজু হয়েছে।

তদন্ত শুরুর পরে দেখা যায়, বন্দুকটি ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় থানার মালখানার। খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানা যায়, সেখানকার মালখানার ১৮টি বন্দুকের হদিস নেই। তদন্তে নেমে লালগড় থানার এসআই তারাপদ টুডু ও এনভিএফ লখিরাম রানাকে গ্রেফতারও করে এসটিএফ। গত ২১ জানুয়ারি লালগড় থানায় একটি পৃথক মামলাও রুজু হয়েছে। এসটিএফের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তদন্তে ঝাড়খণ্ডের চিরঞ্জীবী ওঝার নাম উঠে এসেছিল। সে পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, ছত্তীসগঢ় ও বিহারে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। এসটিএফের এক আধিকারিক জানান, ওই ব্যক্তি ওঝা নামেই পরিচিত। ঝাড়খণ্ড থেকে বিভিন্ন এজেন্টের মারফত আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার চালাত। গত জানুয়ারি থেকেই তার খোঁজ চলছিল। কিন্তু বিস্তীর্ণ এলাকায় একাধিক ডেরা থাকায় নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না।

Advertisement

কয়েকদিন আগে সূত্র মারফত এসটিএফের কাছে খবর আসে, হাজারিবাগের কাছাকাছি ওঝাকে দেখা গিয়েছে। নিজের এলাকার লোকজন তাকে ‘পণ্ডিতজি’ বলেই চেনেন। খবর পাওয়ার পরে, এসটিএফের ইনস্পেক্টর তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসটিএফের চার জনের দল দিন চারেক আগে পর্যটক সেজে হাজারিবাগের একটি হোটেলে ওঠে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অভিযানে যাওযার সময়ে নিজেদের গাড়ির নম্বর প্লেটও বদলে ঝাড়খণ্ডের নম্বরপ্লেট লাগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ওঝা বাড়িতে আছে বলে নিশ্চিত হয়ে বুধবার ভোরে তাকে ধরা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়েছিল। তার ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন