Lalan Sheikh

লালন শেখ মৃত্যুর তদন্তে সিআইডি কর্তা, কথা পুলিশের সঙ্গে

লালন-মৃত্যুর তদন্তে সিআইডি তদন্তে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকার জন্য ক’দিন আগে কলকাতা হাই কোর্ট সঠিক তদন্ত করার জন্য সিআইডির ডিআইজিকে নির্দেশ দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:০২
Share:

সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের। — ফাইল ছবি।

সিবিআই হেফাজতে বগটুই হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তে সোমবার রামপুরহাটে এলেন সিআইডি-র ডিআইজি সোমা দাস মিত্র। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে বৈঠক শেষে গেলেন বগটুই গ্রামে, লালনের শ্বশুরবাড়িতে। সন্ধ্যায় ডিআইজি পৌঁছে যান জাতীয় সড়কে, সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। এখানেই ১২ ডিসেম্বর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল লালনের।

Advertisement

লালন-মৃত্যুর তদন্তে সিআইডি তদন্তে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকার জন্য ক’দিন আগে কলকাতা হাই কোর্ট সঠিক তদন্ত করার জন্য সিআইডির ডিআইজিকে নির্দেশ দেয়। সেই মতো এ দিন দুপুর দুটো নাগাদ রামপুরহাট সেচ কলোনির সার্কিট হাউসে ওঠেন সোমা দাস মিত্র। সেখান থেকে দুপুর তিনটে চল্লিশ নাগাদ রামপুরহাট-তারাপীঠ রাস্তার ধারে পুলিশের অতিথিশালায় লালনের মৃত্যুর তদন্তে নিযুক্ত তিন জন সিআইডি আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিআইজি। ওই বৈঠকে লালনের স্ত্রী রেশমা বিবিকেও ডাকা হয়। দু’ঘণ্টার বেশি সময় রেশমার সঙ্গে কথা বলেন ডিআইজি। কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলেননি রেশমা। তবে সিআইডির ডিআইজি তদন্তে আসা তিনি খুশি বলে জানান।

রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে লালনের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় যে-সব পুলিশ আধিকারিক এবং পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন, এ দিন তাঁদের ডেকে কথা বলেন সিআইডি-র ডিআইজি। রামপুরহাট থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী, লালনের মৃত্যুর তদন্তকারী অফিসার সৈয়দ আব্দুল আহাসান-সহ দু’জন এসআই এবং চার জন কনস্টেবল, এই মোট সাত জন এসেছিলেন এ দিন। এ ছাড়া পুলিশের যে গাড়ি চালক লালন শেখের দেহ নামিয়েছিলেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই বিকাশ মালকেও ডিআইজি ডেকে পাঠান। রবিবার, বড়দিনে বগটুই গ্রামে লালনের নির্মীয়মাণ বাড়িতে চুরির অভিযোগের তদন্তে এসেছিল সিআইডি-র ফরেন্সিক দল। সেই দলের চার জন সদস্যও বৈঠকে ছিলেন বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

সূত্রের খবর, সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যুর দিন সিবিআইয়ের কোনও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন কি না, ঘটনার কথা পুলিশ কখন জেনেছে, সে সম্বন্ধে ডিআইজি পুলিশ আধিকারিকদের কাছে জানতে চান। এ দিন সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ডিআইজি বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। বিশদে জিজ্ঞাসা করবেন না। তদন্ত আগে শেষ হোক। হলে আমরা নিশ্চয়ই বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন