শিল্পীর সঙ্গে আলাপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বুধবার ইঁদপুরের সভা সেরে সন্ধ্যায় মুকুটমণিপুরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছনোর পরে পায়ে হেঁটে কংসাবতীর জলাধার ঘুরে দেখতে বেরোন তিনি। তখনই চোখে পড়ে, জলাধারের রাস্তা জুড়ে আলপনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুকুটমণিপুর শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:১৮
Share:

রঙিন: জলাধারের রাস্তায় আলপনা দিচ্ছেন চন্দনবাবু। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

হঠাৎ করেই যেন পাল্টে গেল চারপাশটা। কাল পর্যন্ত কাজ করে গিয়েছেন, অনেকে দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে দেখলেও কথা বলতে এগিয়ে আসেননি। পরিস্থিতিটা বদলে গেল রাতারাতি। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

বুধবার ইঁদপুরের সভা সেরে সন্ধ্যায় মুকুটমণিপুরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছনোর পরে পায়ে হেঁটে কংসাবতীর জলাধার ঘুরে দেখতে বেরোন তিনি। তখনই চোখে পড়ে, জলাধারের রাস্তা জুড়ে আলপনা।

থমকে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পী চন্দন রায়কে ডেকে কথাও বলেন। শুধু তা-ই নয়, চন্দনবাবুর এই শিল্প মুখ্যমন্ত্রীর এতটাই ভাল লেগে যায় যে কলকাতা শহরের কিছু এলাকাতেও তিনি এই আলপনা দিয়ে সাজানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন। চন্দনবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, মেটাল প্রাইমারের উপরে সিন্থেটিক অ্যানামেল দিয়ে আলপনা আঁকা হচ্ছে। এই রঙ চট করে উঠবে না।

Advertisement

সিমলাপাল থানার পুখুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা চন্দনবাবু মুখ্যমন্ত্রীর মুখে প্রশংসা শুনে আপ্লুত। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই মুকুটমণিপুরে কার্যত ভিআইপি হয়ে গিয়েছেন তিনি। এখন সবাই এসে আলাপ করে যাচ্ছেন। প্রশংসাও করছেন তাঁর কাজের।

খাতড়া মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর মুকুটমণিপুর মেলা উপলক্ষে জলাধারে যাওয়ার রাস্তা জুড়ে আদিবাসীদের নিজস্ব শৈলীর আলপনা আঁকানো হচ্ছে। সেই কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র চন্দনবাবু।

প্রায় দু’দশক ধরে খাতড়ায় আঁকার স্কুল চালিয়ে আসছেন এই যুবক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আলপনা শেষ করতে নিজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে লাগাতার কাজ করে চলেছেন তিনি। বলেন, ‘‘আমার কাজ যে মুখ্যমন্ত্রীর নজর কেড়েছে, সেটা ভাবতেই ভাল লাগছে। উনি আমাকে কলকাতায় ডেকেছেন।’’

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘বড় দিনে মেলা হবে বলে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ভাল লাগাটা আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন