প্রচারে হাতিয়ার সাবেক রেডিয়ো

ফোনের এ পারে ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এডস সংক্রান্ত কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবযানী খান ও পুঞ্চার বাগদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

সমীর দত্ত

পুঞ্চা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:২০
Share:

বেতারকেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

এডস নিয়ে সচেতন করতে খোলা ছিল কমিউনিটি রেডিয়োর ফোন। সাড়া মিলল ভালই।

Advertisement

বছর কয়েক ধরে পুঞ্চার লৌলাড়াতে ‘নিত্যানন্দ জনবাণী’ নামে একটি কমিউনিটি রেডিয়ো চলছে। জেলা প্রশাসন, ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে সম্প্রতি সেখানে এডস বিষয়ক সচেতনতায় ফোনে কথা বলার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। বেলা ১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত প্রায় কুড়িটি ফোন এসেছে। তার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা— কেউ স্কুলছাত্রী, কেউ গৃহবধূ।

ফোনের এ পারে ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এডস সংক্রান্ত কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবযানী খান ও পুঞ্চার বাগদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়। দেবযানীদেবী বলেন, ‘‘অনেকেই যৌন রোগ কেন হয়, এডস কী ভাবে ছড়ায়, প্রতিরোধের জন্য কী করা দরকার— এই সমস্ত জানতে চেয়েছেন। আসলে মুখোমুখি যে কথা বলতে সঙ্কোচ হতে পারে, ফোনের আড়াল থেকে সেটাই অনেক সহজে বলা যায়। তাই এমন একটা কিছু করার কথা ভাবা হয়েছিল।’’

Advertisement

ইউনিসেফের পুরুলিয়া জেলা কনসালট্যান্ট অনিরুদ্ধ রায় জানান, কমিউনিটি রেডিয়োর মাধ্যমে এই ধরনের বেশ কিছু সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। অনুষ্ঠানগুলিকে বলা হয়, ‘কন্যাশ্রী বেতার সভা’। তবে বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন স্তরের মানুষজনের সাড়া তাঁরা পান বলে জানাচ্ছেন অনিরুদ্ধবাবু। নিত্যানন্দ জনবাণী রেডিয়োর অন্যতম কর্তা চণ্ডীদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগে বিভিন্ন স্কুল ও ক্লাবের সদস্যদের এনে আলোচনা সম্প্রচার করা হত। এডস বিষয়ক সচেতনতার প্রচার চালাতে গিয়ে আমরা ফোন নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছি।’’

কিন্তু অন্য একটা প্রশ্নও এই উদ্যোগের গোড়াতেই এসে পড়েছিল। অনেক ঘরেই এখন পুরনো রেডিয়ো সেট তাকে তোলা থাকে। কারও বাড়ির রেডিও নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। মেরামত করা হয়নি। হালফিলে কত মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব এই ধরনের উদ্যোগে? পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘রেডিয়োর শ্রোতা রয়েছেন। আর পুঞ্চার ওই রেডিয়ো স্টেশন থেকে শুধু সম্প্রচার নয়, শোনানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’

রেডিয়ো স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেটির সম্প্রচারের এলাকা আকাশসীমায় ১৫-২০ কিলোমিটার। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের জন্য মানবাজার ২ ও হুড়া ব্লক এলাকার মোট ২০টি স্কুলে রেডিও শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেডিও স্টেশনের কর্তাদের উদ্যোগে পুঞ্চা ব্লক এলাকার ১৪টি গ্রামে দেওয়া হয়েছে রেডিয়ো সেট। অনেকেই তাতে নিয়মিত অনুষ্ঠান শোনেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন