ছাত্রদের দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ

প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক আদিবাসী পড়ুয়াদের দিয়ে জমি থেকে ধান তোলানো, বয়ে নিয়ে এসে গাদা করানোর অভিযোগ উঠল বান্দোয়ানে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবাসিক ভবনের রাঁধুনি সাধুচরণ হেমব্রম অবশ্য তেমনটা মানতে চাননি। ঠিক কী হয়েছে জেনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বান্দোয়ানের জয়েন্ট বিডিও শুভাশিস ভট্টাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:০৪
Share:

প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক আদিবাসী পড়ুয়াদের দিয়ে জমি থেকে ধান তোলানো, বয়ে নিয়ে এসে গাদা করানোর অভিযোগ উঠল বান্দোয়ানে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবাসিক ভবনের রাঁধুনি সাধুচরণ হেমব্রম অবশ্য তেমনটা মানতে চাননি। ঠিক কী হয়েছে জেনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বান্দোয়ানের জয়েন্ট বিডিও শুভাশিস ভট্টাচার্য।

Advertisement

বান্দোয়ান থানা এলাকায় রয়েছে চিরুডি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল থেকে খানিকটা দূরে আদিবাসী প্রাথমিক পড়ুয়াদের জন্য আবাসিক ভবনটি রয়েছে। এখানে ৩০ জন পড়ুয়া থাকে। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগ থেকে ওই আবাসিক ভবনের শিশু পড়ুয়াদের খরচের টাকা আসে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দু’তিন দিন ধরে তাঁরা ওই পড়ুয়াদের ধান বইতে দেখেছেন। এঁদের এক জনের কথায়, ‘‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি নোটের বাজারে খরচ কমাতে সাধুচরণই ওদের দিয়ে এ কাজ করাচ্ছে।’’

শিশু-পড়ুয়াদের দিয়ে এমন কাজ করানোর অভিযোগ মানতে চাননি সাধুচরণ। তাঁর কথায়, ‘‘কই, আমি তো ওদের ধান তুলতে বলিনি। আমার জমির ধান তো শ্রমিকরাই তোলে।’’ তা হলে পড়ুয়াদের ধান বইতে দেখা গেল কী ভাবে? এ বার তাঁর সাফাই, ‘‘শ্রমিকদের ধান তোলা দেখে কয়েক জন পড়ুয়া কয়েক আঁটি ধান বয়ে নিয়ে যেতে চায় বলে জানায়।’’ স্থানীয়দের একাংশের পাল্টা প্রশ্ন, তেমনটা সত্যি হলে ওই শিশুদের পরপর দু’তিন দিন ধান বইতে দেখা গেল কী করে? তার সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত।

Advertisement

যুগ্ম বিডিও শুভাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিশুদের দিয়ে এমন কাজ করানো হলে তা ঠিক হয়নি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়ে কেন এই ধরনের কাজ করানো হল জানতে চাইব।’’ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা মহাসীম মণ্ডল বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের দিয়ে জমি থেকে ধান তোলানো হচ্ছে, এমনটা জানি না। কে বা কারা এই ধরনের কাজ করাল খোঁজ নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন