Corona Vaccine

টিকা নিতে ভোর থেকে ইট, চিরকুট

মহম্মদবাজার ব্লকেও আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। যার মধ্যে মৃত্যুও হয়েছে কয়েক জনের। যার ফলে বেশ আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২১ ০৭:৩৫
Share:

কীর্নাহার, মহম্মদবাজারে। ছবি: পাপাই বাগদি

করোনা আতঙ্কে ভোর থেকে ইট পেতে টিকা নিতে লাইন দিচ্ছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মহম্মদবাজার ব্লকেও আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। যার মধ্যে মৃত্যুও হয়েছে কয়েক জনের। যার ফলে বেশ আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। আর তাই করোনার হাত থেকে বাঁচতে ভোর থেকে লাইন দিচ্ছেন এলাকাবাসী। মহম্মদবাজার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশেই দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকা। আর সেই টিকাকরণ সেন্টারের সামনে ভোর থেকে ইট পেতে লাইন দিচ্ছেন বাসিন্দারা। কাগজের টুকরোয় নিজেদের নাম লিখে দ্বিতীয় দফার টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষজন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, সোমবার ৪৩৯ জনকে কোভিসিন টিকা দেওয়া হয়। সকাল থেকেই মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন টিকাকরণ সেন্টারের সামনে। প্রতিদিনই দেওয়া হচ্ছে টিকা।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিসকুমার মণ্ডল, দীপককুমার দাস ও সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রতিদিন যে হারে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং যেভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তাতে দিন দিন ভয়ের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। তাই যাতে করোনা থেকে বাঁচা যায় সেই জন্য আমরা করোনার টিকা নিতে এসেছি।’’ তাঁরা জানান, আগেই তাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। এখন তাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নিতে লাইন দিচ্ছেন।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, টিকা নিতে এত মানুষের ভিড় হচ্ছে যে ভোর থেকে এসে লাইন দিতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তারও আগে থেকে ইট পেতে তাতে নাম লিখে লাইন দিয়ে দিচ্ছেন। ফলে টিকা নিতে প্রচণ্ড ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তার ওপর টিকাকরণ সেন্টারের সামনে নেই কোনও ছাউনি। ফলে চড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে টিকা নিতে আসা মানুষজনকে। এতে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন রোদে দাঁড়িয়ে থেকে। তাঁদের আবেদন, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি টিকাকরণ সেন্টারের সামনে কোনও ছাউনি ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে এই ভোগান্তির হাত থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন মানুষ।\

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন