এই বাড়িতেই বাস। নিজস্ব চিত্র
বিষ্ণুপুরের মড়ার পঞ্চায়েতের চৌকান গ্রামে বাড়ি। স্ত্রী ছাড়া, সংসারে আছে ছেলে, বৌমা ও নাতি। ছোটবেলায় সংসার চালাতে কজে নেমে পড়েছিলাম। ২০ বছর ধরে রাজমিস্ত্রির কাজ করে আসছি। একটা দিনও বাড়িতে বসে থাকতে হয়নি।
আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই এক সঙ্গে কাজে যাই। কখনও ‘কন্ট্রাক্ট’ নিয়ে কাজ করি। আবার কখনও মিস্ত্রির অধীনে। রোজ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করেছি দু’জনে। খেটে খাই। তেমন টানাপোড়েন হয়নি এত দিন। আচমকা করোনা-আতঙ্কে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চার-পাঁচটি কাজ ধরেছিলাম। সব জলে গেল। দিন দশেক বাড়িতে বসে আছি। জমানো টাকা যা ছিল, তা বাজার করতে গিয়েই শেষ হয়ে গিয়েছে। ভেবেছিলাম, যাঁদের বাড়িতে কাজ ধরেছি, তাঁদের থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে ঘরের চালা মেরামত করব। তা আর হল না। কালবৈশাখী শুরু হওয়ার আগে ঘরটা মেরামত করে নিতে চেয়েছিলাম। মনে হচ্ছে, সেটা পারব না। সারা বছর কাজ করি। হঠাৎ করে ঘরে চুপচাপ বসে থাকতে হচ্ছে। হাত-পায়ের যন্ত্রণা শুরু হয়েছে।
ছোটবেলা থেকে খুব কষ্ট করে দিনমজুরি করে সংসার চালিয়েছি। রাজমিস্ত্রি হওয়ার পরেন একটু স্বচ্ছল হয়েছি। এখন আবার সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি না, পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে। ঘরবন্দি অবস্থা আমাদের মতো লোকজনদের মেরে ফেলছে!