Cow Smuggle Case

কেষ্টর পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬০ লক্ষ টাকা! নেপথ্যে তাঁর মনিবেরই হাত দেখছে ইডি

কেষ্টর পরিচারকের পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের সহযোগিতার নামে পরিচয়পত্র-সহ বিভিন্ন নথি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজয় জানতেনই যা তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ১৮:২৪
Share:

কে কে অনুব্রতের বাড়ির পরিচারক বিজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছেন, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে ইডি। —ফাইল চিত্র।

বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচালক বিজয় রজকের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এবং সেটা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এমনই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখে ইডি বলছে ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে অন্তত ৬০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বিপুল অঙ্কের টাকা টাকা জমা পড়ে বিজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, ওই সমস্ত টাকারই লেনদেন হয়েছে অনুব্রতের নির্দেশে। এখন কে কে বিজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা করেছেন, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে ইডি।

Advertisement

যদিও কেষ্টর পরিচারকের পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তাদের যুক্তি, সরকারি প্রকল্পের সহযোগিতার নামে বিজয়ের পরিচয়পত্র-সহ বিভিন্ন নথি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজয় জানতেনই যা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এত টাকা জমা হচ্ছে। বিজয়ের মা বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ছেলেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেবে বলে ওর আধার কার্ড, পাসপোর্ট ফোটো নিয়ে গিয়েছিল ওরা। বেশ কয়েকটা চেকেও সই করিয়েছিল। আমার ছেলে জানতই না যে, ওই সব নথি দিয়ে ওর নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।’’ তিনি এ-ও দাবি করেন ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির না পাসবই, এটিএম কার্ড— কোনও কিছুই বিজয়ের কাছে ছিল না। বিজয়ের বাবা মদনলাল রজক বলেন, ‘‘এখন সিবিআই, ইডি ওকে ডাকায় জানতে পারছি যে, ছেলের নামে এতগুলো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে বিজয়ের।’’

বিজয় অনুব্রতের বাড়িতে কাজ করতেন। তাঁর বাবা মদনলাল ধোপার কাজ করেন। দু’জনের আয়েই সংসার চলে। ইডির তলবের পর বিস্মিত বিজয়ের প্রতিবেশীরাও। মীরা খটিক নামে এমনই এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘বিজয়কে দেখে কখনও মনে হয়নি যে, ও এমন কাজ করতে পারে। ওর ব্যবহারে কখনও কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করিনি। আমাদের মনে হয় না ও এই কাজ করতে পারে।’’ তবে এই ব্যাপারে বিজয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন