দেহ দেখতে ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে জায়গার অভাবে কাছেই এক মন্দিরে রাত কাটাতে গিয়েছিলেন এক প্রৌঢ়। মঙ্গলবার সকালে সেই মন্দিরের অদূরে পুকুর পাড়ে পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায় তাঁর দেহ মিলল। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম গঙ্গাধর মাহাতো (৫০)। পুরুলিয়া মফস্সল থানার বোঙাবাড়ি গ্রামে তাঁর বাড়ি। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের দেহে ধারাল কোনও অস্ত্রের চিহ্ন দেখা না গেলেও তাঁর নাকমুখ থেকে রক্ত বের হয়েছে। মন্দিরে যেখানে তাঁর শোওয়ার কথা ছিল, সেখানেও রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। নিহতের ছেলে শিবুলাল মাহাতো বলেন, ‘‘বাবাকে কে বা কারা এ ভাবে খুন করল আমরা পুলিশকে তা তদন্ত করে দেখতে বলেছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
গঙ্গাধরবাবু রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। সাত সকালে গ্রামের পুকুরের ধারে পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায় তাঁর দেহ মেলায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরুলিয়া মফস্সল থানার ওসি দেবাশিস পাহাড়ি ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গাধরবাবুর স্ত্রী কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। তাঁকে দেখতে গঙ্গাধরবাবুর শ্বশুরবাড়ি থেকে এক আত্মীয় এসেছিলেন। রাতে বাড়িতে শোওয়ার জায়গার সমস্যা হওয়ায় গঙ্গাধরবাবু বাড়ির কাছেই শিবমন্দিরে শুতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি বাড়ি না ফেরায় স্ত্রী তাঁর খোঁজ করতে যান। পরে পুকুরে হাতমুখ ধুতে গিয়ে তাঁর চোখে পড়ে দূরে স্বামীর জামা পড়ে রয়েছে। কাছে গিয়ে তাঁর দেখার সাহস হয়নি। বাড়ি ফিরে ছেলেদের এ কথা জানালে সকলে গিয়ে দেখেন পুকুরের পাড়ে গঙ্গাধরবাবুর দেহ পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে।