ঝুঁকির পারাপার। রামপুরহাটের রেলফটকে তোলা নিজস্ব চিত্র।
রেললাইন পার হতে রামপুরহাট স্টেশনের উত্তর দিকে রেল ফটক এলাকায় একটি ফুটওভার ব্রিজের দাবি দীর্ঘ দিনের। সেই দাবিতে সম্প্রতি রেলের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি দিলেন শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। অতীতে একই দাবিতে রেল ফটকের কাছে অতীতে বহু বার বিভিন্ন সংগঠন থেকে স্থানীয় বাসিন্দা আন্দোলন করেছেন। তাঁরা রেল আধিকারিকদের শরণাপন্নও হয়েছেন। সম্প্রতি তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ ও রেল নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেছে। আজ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি।
রেল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বহু দিন আগে ওই এলাকায় রেলের ফুটওভার ব্রিজ ছিল। কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ায় ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় রেল। ২০০৭ সালে নলহাটিমুখী একটি মালগাড়ির ধাক্কায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহজাদা কিনুর ক্ষোভ, ‘‘ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ায় সময় থেকেই এলাকাবাসী বিকল্প একটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু রেল কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্টে রেলফটকের গেট আরও নীচু করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।” অথচ এই পথ দিয়েই শহরের ১, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ছাড়াও রামপুরহাট ১ ব্লকের কুশুম্বা, আয়াষ, নারায়ণপুর— এই তিনটি অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। রেল গেট পড়ে গেলে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হয়। অনেকে বাধ্য হয়ে সেই অবস্থাতেও প্রাণ হাতে নিয়ে পারাপার করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে রামপুরহাট রেল স্টেশনের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অলিন্দ শেখর জানান, এলাকাবাসীর দাবি হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম এবং সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। যা করার তাঁরাই করবেন। হাওড়া ডিভিশনের ঝাপটের ঢাল স্টেশন থেকে পাকুড় পর্যন্ত রেলের এরিয়া ম্যানেজার মোহিতকুমার বিশ্বাস বলেন, “সম্প্রতি তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ রেলফটক এলাকার ওই সমস্যা মেটানোর জন্য রেলের কাছে আবেদন করেছে। পর্ষদের সঙ্গে তা নিয়ে রেলের আধিকারিকদের আলোচনাও হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”