Coronavirus

বাড়ছে রোগী, চাই হাসপাতাল  

চিকিৎসা নিয়ে এই দৌড়ঝাঁপ এড়াতেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রামপুরহাটের নার্সিংহোমের লেভেল ২ কোভিড হাসপাতালকে লেভেল থ্রি এবং ফোরে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৩:৩২
Share:

শুভেচ্ছা: সুস্থ হওয়ার পরে রামপুরহাটের কোভিড হাসপাতাল থেকে ফুল-মিষ্টি দিয়ে ছাড়া হল ১৮ জনকে। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

বীরভূমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৭-এ পৌঁছেছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় দরকার পড়ছে আরও কোভিড হাসপাতালের। পাশাপাশি আক্রান্তদের চিকিৎসা জেলার কোন হাসপাতালে হবে, তা নিয়ে টানাপড়েনও অব্যাহত।

Advertisement

সূত্রের খবর, শনিবারও সেই টানাপড়েন চলেছে। প্রথমে সিদ্ধান্ত হয় রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার করোনা আক্রান্ত ৮ জনকে বোলপুরের গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেই মতো রোগীদের নিয়ে বোলপুরের উদ্দেশে আক্রান্তদের নিয়ে রওনা দিয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু, পরে সিদ্ধান্ত বদলায়। ফলে, মাঝপথে গাড়ি ঘুরিয়ে রামপুরহাটের নার্সিংহোমে লেভেল টু কোভিড হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। এই ঘটনা এর আগেও ঘটেছে জেলায়। রোগীদের ভর্তি করানো এই হয়রানি নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনেকেই আড়ালে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

চিকিৎসা নিয়ে এই দৌড়ঝাঁপ এড়াতেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রামপুরহাটের নার্সিংহোমের লেভেল ২ কোভিড হাসপাতালকে লেভেল থ্রি এবং ফোরে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তারাপীঠ ঢোকার মুখে একটি লজ, যেটি এতদিন করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত ছিল, সেই লজে এ বার উপসর্গহীন করোনা রোগীদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই লজটিতে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ৬০টি শয্যা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তা গড়ে তোলার জন্য লজটিতে থাকা ২৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। বাড়ি পাঠানোর আগে কারা গৃহ-নিভৃতবাসে থাকবেন এবং কারা সরকারি নিভৃতবাসে থাকবেন, তা ঠিক করতে ডান হাতের বুড়ো আঙুল এবং তর্জনীতে ভোটের কালি লাগিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

এরই মধ্যে আশার খবর, শনিবার বিকেলে রামপুরহাটের নার্সিংহোমের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৩৫ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের হাতে ‘করোনা জয়ী’ হিসেবে একটি করে গোলাপ ফুল এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ওই ১৮ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে দশ দিন আগে। এ ছাড়াও তাঁদের দেহে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য করোনা উপসর্গ নেই। সেই কারণে স্বাস্থ্য দফতরের গাইড লাইন মেনেই তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িতে কঠোর ভাবে কয়োরান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই ১৮ জনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন