ওষুধপত্রের অমিল নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। চিকিৎসকও যখন তখন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টেনে নেওয়ার নজির ছিল। এরই মধ্যে একমাত্র চিকিৎসককে রাতের ডিউটির জন্য ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নিতে আসা অ্যাম্বুল্যান্স রাতভর আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। মানবাজারের কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মঙ্গলবার রাতের ক্ষোভের সেই আঁচ দেখে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন বিডিও। বুধবার দুপুরে তাঁর আশ্বাস দেওয়ার পরে সেই রাতেই কুদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে পৌঁছল ওষুধ, অক্সিজেনের সিলিন্ডার!
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশে বুধবার রাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা মানবাজার গ্রামীন হাসপাতাল থেকে কুদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এইসব মালপত্র পৌছে দেন। কুদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী ও বাসিন্দাদের একাংশ ওষুধের অমিলের কথা জানালেও মানবাজারের বিএমওএইচ কালীপদ সোরেন এ দিন দাবি করেছেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধের প্রয়োজনীয়তার কথা আগে আমাকে কেউ জানাননি। তবে খবর পেয়েই হাসপাতালের গুদাম থেকেই ওষুধ ও অক্সিজেনের সিলিন্ডার পাঠানো হয়েছে।’’ কুদা এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত মাহাতো, সুদীপ মাহাতো, অশ্বিনী মাহাতো বলেন, ‘‘মানবাজারের হাসপাতালের অধীনে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখানে এইসব ওষুধপত্র না থাকার কথা তো বিএমওএইচ-এর জানা উচিত ছিল।’’
রাতের ডিউটি করার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে আনতে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ডাক্তারকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ইতিপূর্বেও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে ডিউটি দেওয়ার নামে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত পাঠানো হয়নি। তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসককে আমরা ছাড়ব না। কেবল তাই নয়, চিকিৎসককে নিতে আসা অ্যাম্বুল্যান্স ও চালকদের মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার দুপুর অবধি আটকে রাখা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে মানবাজার ১ বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বুধবার কুদা গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই কিছু বাসিন্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ না মেলা, পরিকাঠামোর মান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন।