তারাপীঠে উন্নয়ন করেও অঞ্চলে হার, ক্ষুব্ধ অনুব্রত

শনিবার তারাপীঠের বেসিক মোড়ে, হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল তৃণমূলের। হাঁসন কেন্দ্রের অধীন নলহাটি ২ ব্লকের ৬টি অঞ্চল এবং রামপুরহাট ২ ব্লকের ৯টি— মোট ১৫টি অঞ্চলের ২৫৭টি বুথের পর্যালোচনা করতে গিয়েই এ দিন সাহাপুরের প্রসঙ্গ তোলেন অনুব্রত। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারাপীঠ শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪০
Share:

অনুব্রত মন্ডল।

তারাপীঠে এত উন্নয়ন করেও সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে কেন লোকসভা ভোটে পিছিয়ে ছিল দল, তা সেখানকার নেতাদের কাছে জানতে চাইলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সাহাপুরের ফল নিয়ে তিনি যে চিন্তিত, তা স্পষ্ট সেখানে এক জন অতিরিক্ত কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করায়।

Advertisement

শনিবার তারাপীঠের বেসিক মোড়ে, হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল তৃণমূলের। হাঁসন কেন্দ্রের অধীন নলহাটি ২ ব্লকের ৬টি অঞ্চল এবং রামপুরহাট ২ ব্লকের ৯টি— মোট ১৫টি অঞ্চলের ২৫৭টি বুথের পর্যালোচনা করতে গিয়েই এ দিন সাহাপুরের প্রসঙ্গ তোলেন অনুব্রত।

দলের রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য এবং সাহাপুর অঞ্চলের সভাপতি মেহেবুব আলমের উদ্দেশে অনুব্রত বলেন, ‘‘সাহাপুর পঞ্চায়েত বড় পঞ্চায়েত। সেখানে ২৫টি বুথের মধ্যে ১৭টি হেরেছি (লোকসভায়) আমরা। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘সাহাপুর অঞ্চলের মধ্যে তারাপীঠ পড়ছে। সেখানে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ অনেক ভাল কাজ করেছে। তারাপীঠের কাজের নিরিখে সাহাপুর পঞ্চায়েতে হার মেনে নেওয়া যায় না।’’

Advertisement

অনুব্রতের প্রশ্নের জবাবে সুকুমারবাবু দাবি করেন, ‘‘তারাপীঠ যেহেতু সাহাপুরের মধ্যে পড়ছে, তাই সব দলের নজর তারাপীঠের উপরে থাকে। এ বার লোকসভায় তারাপীঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস একজোট হয়ে ভোট করিয়েছিল। তাই ফল খারাপ হয়েছে।’’

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ১১টি আসনের মধ্যে হাঁসন ও নানুর বিরোধীরা দখল করেছিল। এ বছর লোকসভা নির্বাচনের ফলে অবশ্য দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল জয়ী হয়। হাঁসন কেন্দ্রে তৃণমূল ২৯ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি-র চেয়ে। কিন্তু, হাঁসন কেন্দ্রের ১৫টি অঞ্চলের মধ্যে সাহাপুর, বিষ্ণুপুর এবং ভদ্রপুর ১— এই তিনটি অঞ্চলে বিজেপি-র চেয়ে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।

তবে, সাহাপুর অঞ্চলে পিছিয়ে থাকাই যে তাঁকে বেশি অস্বস্তিতে রেখেছ, তা এ দিন অনুব্রতের কথায় পরিষ্কার হল বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। সে জন্যই সাহাপুর অঞ্চলে আর এক জন কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করার নির্দেশ দেন জেলা সভাপতি। ভদ্রপুর অঞ্চলেও দলের সংগঠন চাঙ্গা করার জন্য বাড়তি এক জন অঞ্চল সভাপতি নিয়োগ করার ও শীতলগ্রাম অঞ্চলে ৫ জনের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন অনুব্রত।

এ দিন সাহাপুর, বুধিগ্রাম, মাড়গ্রাম ১ অঞ্চল থেকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকাও তুলে দেন অনুব্রত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন