শাসকের বিরুদ্ধে নালিশ দিলীপের

এরপরেই তিনি অভিযোগ তোলেন, সিভিক ভলান্টিয়ার, পুলিশকে দিয়ে বালি ও কয়লার গাড়ি থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি সদ্য শেষ হওয়া রাজ্য সরকারের শিল্প সম্মেলনের সমালোচনা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪২
Share:

ভিড়: ওন্দার রামসাগরে বিজেপি-র সভা। ছবি: শুভ্র মিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে বাঁকুড়া জেলার একের পর এক এলাকায় সভা করছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। গঙ্গাজলঘাটির পরে এক মাসের মধ্যে শুক্রবার ওন্দার রামসাগর অঞ্চল ক্রীড়া উন্নয়ন সংস্থার মাঠে সভা করলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায় প্রমুখ। সভায় ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত নেতৃত্ব।

Advertisement

কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘রাম নবমী আসছে। রাস্তায় নামতে হবে তো?’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল নমিনেশন করতে দেবে না বলছে। ওরা নমিনেশন করতে পারবে তো?’’ এরপরেই তিনি অভিযোগ তোলেন, সিভিক ভলান্টিয়ার, পুলিশকে দিয়ে বালি ও কয়লার গাড়ি থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি সদ্য শেষ হওয়া রাজ্য সরকারের শিল্প সম্মেলনের সমালোচনা করেন।

সভায় ভরা মাঠ দেখিয়ে দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্বপন ঘোষ দাবি করেন, ‘‘প্রায় ৩০ হাজার কর্মী-সমর্থক জনসভায় এসেছিলেন। বিষ্ণুপুরে কোনও মাঠ পাওয়া যায়নি। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, জয়পুর, সোনামুখী, কোতুলপুর, ইন্দাস, পাত্রসায়র, সোনামুখী থেকে বহু সমর্থক এসেছিলেন।’’ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন বিজেপি সমর্থকদের ইন্দাস, সোনামুখী ও পাত্রসায়রে আটকে দিয়েছে।

Advertisement

লকেট নিজেকে পাঁচালের মেয়ে বলে দাবি করে বলেন, ‘‘এই জনসভা দেখে সত্যিই মনে হচ্ছে বিজেপি-র রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে দেরি নেই। আমরা যেখানে সভা করছি, পিছনে পিছনে ওরাও সভা করছে। ওরা পিছনেই থাকবে।’’ রিষড়ায় টিএমসিপি নেত্রীর হেনস্তার অভিযোগ প্রসঙ্গ টেনেও সমালোচনা করেন। বাসন্তীতে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে স্কুল ছাত্রের গুলিতে খুনেরও সমালোচনা করেন তিনি। মুকুল রায় রাজ্যে চাকরি দেওয়ার নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন।

জনসভায় আসা লোকজনের জন্য সাময়িক ভাবে জাতীয় সড়কে যানজট লেগে যায়। বিজেপি-র স্বেচ্ছাসেবকেরা উদ্যোগী হয়ে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন।

আজ, শনিবার একই মাঠে রামসাগর অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে পাল্টা সভা ডেকেছে তৃণমূল। সেখানে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সভা করবেন বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী। তিনি দাবি করেন, ‘‘বিজেপি-র থেকে তিন গুন লোক বেশি হবে আমাদের সভায়। ওদের সভায় ১৫ হাজার লোক হয়েছে কি না সন্দেহ।’’

তৃণমূল থেকে এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান চঞ্চল নায়ক। শুক্রবার রামসাগর যাওয়ার পথে মুকুল রায় তাঁর হাতে বিজেপি-র পতাকা তুলে দেন। তাঁর সঙ্গে দু’শো জন তৃণমূল কর্মী বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন বলে চঞ্চলবাবুর দাবি। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘প্রধান থাকার সময়ে উন্নয়নের কোনও কাজ করেননি। তাই ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। তারপরে আমাদের থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এতে আমাদের দলের ক্ষতি হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement