ডাক্তার গরহাজির, সঙ্কট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

এক মাত্র চিকিৎসককে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। আশ্বাস মিলেছিল, কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কোনও পরিস্থিতিতেই চিকিৎসক শূন্য রাখা হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ০৩:২২
Share:

এক মাত্র চিকিৎসককে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। আশ্বাস মিলেছিল, কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কোনও পরিস্থিতিতেই চিকিৎসক শূন্য রাখা হবে না। কিন্তু তার পরেও, প্রায় পনেরো দিন ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ উঠেছে। কুদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক জয়দেব বিশ্বাসের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। মানবাজারের বিএমওএইচ কালীপদ সোরেন বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসক আমাকে কিছু জানাননি। শুনেছি উনি বাড়ি গিয়েছেন।’’

Advertisement

কেন্দা থানার মানবাজার ব্লকে কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসককে প্রায়ই অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পথ অবরোধও হয়েছে। সম্প্রতি চিকিৎসককে তুলে নেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গত মাসের শেষে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের উপস্থিতিতে মানবাজার ১ ব্লক অফিসে একটি বৈঠক হয়। সেখানে স্বাস্থ্যকর্তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসককে সরিয়ে নেওয়া হবে না। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত জানিয়েছিলেন, কুদার চিকিৎসক কোনও কারনে বাইরে গেলে সেই সময় অন্য চিকিৎসককে নিয়ে আসা হবে। স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ মাহাতো বলেন, ‘‘প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আর কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। কুদা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপরে নির্ভর করেন কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু আশ্বাস সত্বেও এখানে ৬ জুলাই থেকে ডাক্তার নেই। ফার্মাসিস্ট এবং নার্স ওষুধ দিচ্ছেন।’’

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বাড়ি গিয়েছেন বলে আমি বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছি। তাঁর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। কোনও চিকিৎসকের পক্ষেই একটানা কাজ করে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে উনি আগে আমাকে বা বিএমওএইচকে জানালে অন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা যেত। উনি দু’-এক দিনের মধ্যেই কাজে যোগ দেবেন বলে আমায় জানিয়েছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন