কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র

চিকিৎসক না সরানোর আশ্বাস

কোনও পরিস্থিতিতেই চিকিৎসককে আর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না— সোমবারের বৈঠকে এই আশ্বাসের পাশাপাশি কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চারটি শয্যা রাখার প্রতিশ্রুতিও মিলল। মানবাজার ১ ব্লকের কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসককে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে শুক্রবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পথ অবরোধ করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৬ ০৬:৪৮
Share:

কোনও পরিস্থিতিতেই চিকিৎসককে আর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না— সোমবারের বৈঠকে এই আশ্বাসের পাশাপাশি কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চারটি শয্যা রাখার প্রতিশ্রুতিও মিলল।

Advertisement

মানবাজার ১ ব্লকের কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসককে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে শুক্রবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পথ অবরোধ করেছিলেন। সেই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্তা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠকের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সোমবার দুপুরে ব্লক অফিসে ছিল সেই বৈঠক। সেখানে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবার মান বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব ও নির্দেশ দেন। বৈঠকের পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসককে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও একই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শুক্রবারের অবরোধের পরে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রবিবার মানবাজারে বিধায়ক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে জেলার মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো মানবাজার এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভের কথা স্বীকার করে তা সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে পুরুলিয়ার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) সঙ্গে ছিলেন শান্তিরামবাবুর ঘনিষ্ঠ নেতা তথা তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য নবেন্দু মাহালি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার চিকিৎসক-সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো, বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস, জেলা ও ব্লক স্তরের স্বাস্থ্য আধিকারিক, মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং স্থানীয় কিছু বাসিন্দা।

প্রশাসন সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ মাহাতো, রঞ্জিত মাহাতো, অশ্বিনী মাহাতোরা জানান, আশপাশের কোথাও আর কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। প্রায় কুড়িটি গ্রামের বাসিন্দারা কুদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভর করেন। তাই একমাত্র চিকিৎসককে সরিয়ে নিলে তাঁদের পরিষেবা পাওয়ার আর কোনও উপায় থাকে না। সিএমওএইচ অনিলকুমার দত্ত তাঁদের আশ্বস্ত করে মানবাজারের বিএমওএইচ কালীপদ সোরেনকে নির্দেশ দেন, কোনও পরিস্থিতিতেই কুদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চিকিৎসকশূন্য রাখা চলবে না।

অনিলবাবু জানান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রোগীরা পরিষেবা পেয়ে গেলে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালের উপর চাপ কমবে। তাই জেলা স্বাস্থ্য দফতর কুদাতে চারটি শয্যা রাখার পরিকল্পনা করেছে।

এ জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহযোগিতা করবেন তাঁরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্ত্বর পরিচ্ছন্ন রাখা এবং আলোর ব্যবস্থা করার জন্য তিনি কুদার চিকিৎসক জয়দেব বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন। সিএমওএইচ জানান, এই কাজের জন্য রোগী কল্যাণ সমিতির বরাদ্দ খরচ করা যেতে পারে।

বিএমওএইচ কালীপদ সোরেন বলেন, ‘‘মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিত্সক কম থাকায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসককে নিয়ে আসতে হয়েছিল।’’ যদিও মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসক কম থাকার বিষয়টি মানতে চাননি সিএমওএইচ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন