বৈঠক: বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত এবং চিনের কনসাল জেনারেল মা ঝানয়ু। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বভারতী ও ফিল্ম ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শান্তিনিকেতন আন্তর্জাতিক তথ্যচিত্র উৎসব’-এ সাড়া ফেলল বেশ কিছু ছবি। বিশেষ করে প্রখ্যাত শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের উপরে তৈরি তথ্যচিত্র ‘মাস্টারস্ট্রোক’ ও গ্রিন অস্কার জয়ী তথ্যচিত্র ‘সোর অফ সাইলেন্স’ দর্শকদের মন জয় করেছে বলে দাবি বিশ্বভারতীর। মঙ্গলবার, উৎসবের শেষ দিনেও বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই প্রথম বিশ্বভারতীতে আয়োজিত হল আন্তর্জাতিক তথ্যচিত্র উৎসব। এই উৎসবে বিশ্বের আটটি দেশের ২২টি উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্র ও কাহিনী চিত্র প্রদর্শিত হয়। শান্তিনিকেতনের শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের উপর তৈরি তথ্যচিত্রটি এই উৎসবে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। এ ছাড়া বিশ্বভারতীর প্রযোজিত ‘নন্দনমেলা, কলাভবন ও শান্তিনিকেতন’, বিশ্বভারতীর ছাত্র রাজদীপ রায়ের উদ্যোগে তৈরি ‘তেপান্তর’, মৈনাক ঘোষ ও শম্ভুনাথ ঘোষের ‘বিহন্ড দিসাহিলিটস’ নামক তথ্যচিত্রও উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বহু বিষয় এই তথ্যচিত্রগুলিতে তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে খ্যাত পরিচালক মাইক পান্ডের তৈরি ‘গ্রিন অস্কার’ প্রাপ্ত তথ্যচিত্র ‘সোর অফ সাইলেন্স’ও প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে মূল্যবান তথ্যচিত্র ‘সার্টেন লিবারেশন’ও দাগ কাটে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে দেশিকোত্তম প্রাপ্ত পরিচালক গোপালকৃষ্ণণ প্রায় দেড় ঘণ্টা নিজের জীবন, নিজের তৈরি ছবি ও তথ্যচিত্র তৈরির পদ্ধতি প্রসঙ্গে দর্শক, ছাত্রছাত্রীদের বহু প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিশ্বভারতীর প্রথম বর্ষের ছাত্রী টুইঙ্কল দে, পায়েল পণ্ডিতরা বলছেন, “সন্ধ্যার দিকে তথ্যচিত্র উৎসবে ভিড় উপছে পড়ছে।” তাঁদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, পরিচালক মাইক পান্ডের তৈরি তথ্যচিত্র ‘সোর অফ সাইলেন্স’ দর্শকদের অনুরোধে ফের প্রদর্শিত হয়। অধ্যাপক বিপ্লবলৌহ চৌধুরী বলেন, “এই প্রথম এত বড় মাপের উৎসব হল। পড়ুয়ারা অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। বড় পরিচালকদের সান্নিধ্যও পাওয়া গিয়েছে। আগামী দিনে ছাত্রছাত্রীদের আরও উৎসাহিত করবে এই উৎসব।”