বৃদ্ধা খুন, নিখোঁজ নাতবউ অভিযুক্ত

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতীদেবীর যৌথ পরিবার ছিল। ঘটনার দিন কাজ থেকে ফিরে বাড়ির পুরুষেরা সবাই বাজারের দিকে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোতুলপুর শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

ঘটনাস্থল: এই বাড়িতেই খুন হন বৃদ্ধা। নিজস্ব চিত্র

বাড়িতে মিলল বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। এক বছরের ছেলে আর পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে নিখোঁজ তাঁর নাতবউ। বৃহস্পতিবার রাতে কোতুলপুর থানার মুড়া গ্রামের ওই ঘটনায় নাতবউয়ের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বৃদ্ধার নাম সরস্বতী কোলে (৭৫)।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতীদেবীর যৌথ পরিবার ছিল। ঘটনার দিন কাজ থেকে ফিরে বাড়ির পুরুষেরা সবাই বাজারের দিকে গিয়েছিলেন। সরস্বতীদেবী এবং তাঁর নাতবউ রুম্পা ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। কোতুলপুর থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে সরস্বতীদেবীর ছেলে শ্যামাপদ কোলে দাবি করেছেন, তাঁরা রাতে বাড়িতে ফিরে দেখেন মায়ের রক্তাক্ত দেহ ঘরে পড়ে রয়েছে। পাশে গরুর গাড়ির চাকার লোহার বেড়ের একটা ভাঙা টুকরো। তাতে রক্ত লেগে। সেই সময় থেকেই রুম্পার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পড়শিদের সাহায্যে সরস্বতীদেবীকে নিয়ে গোগড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ওই রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।

কিন্তু রুম্পা খুন করলে তার কারণ কী হতে পারে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় সবাই। শ্যামাপদবাবু বলেন, ‘‘বৌমা মানসিক ভাবে খুব একটা সুস্থ ছিল না। আমরা ডাক্তারও দেখাচ্ছিলাম।’’ তবে এই ব্যাপারটি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেননি তিনি। রুম্পার স্বামী রাজকুমারও বলেন, ‘‘কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। ওর বাপের বাড়িতেও খোঁজ করেছি। ছেলেমেয়েগুলোকে নিয়ে কোথায় গেল ভেবে থই পাচ্ছি না।’’ তাঁদের দাবি, সরস্বতীদেবীর সঙ্গে রুম্পার টুকটাক ঝামেলা লেগে থাকত। কিন্তু তার থেকে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা তাঁরা ভাবতেও পারেননি। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সংসার খরচ দেওয়া নিয়ে সরস্বতীদেবীর সঙ্গে রাজকুমারের বেশ কয়েক বার ঝামেলা হয়েছে। মাঝে মধ্যেই রুম্পার সঙ্গেও তাঁর ঝামেলা হত। ওই পরিবারের পড়শি আত্মীয়া মিঠু কোলে বলেন, ‘‘রুম্পা বুড়ি মানুষটার গায়ে প্রায়ই হাত তুলত।’’

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রুম্পার খোঁজে তল্লাশি চলছে। অন্য সমস্ত সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন