বন্ধ স্টেশনের চলমান সিঁড়ি

বর্তমানে রামপুরহাট স্টেশনে ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সংযোগকারী হিসেবে দুই প্রান্তে দু’টি বেশ উঁচু ওভারব্রিজ আছে।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ২২:৫৭
Share:

ভোগান্তি: নামেই চলমান। আসলে সিঁড়িভাঙা। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

মাস খানেক চালু থাকার পরে রামপুরহাট স্টেশনে চলমান সিঁড়ির পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীরা। তাঁরা অবিলম্বে চলমান সিঁড়ি চালুর দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগ, রেল কতৃর্পক্ষের উদাসীনতার জন্য চলমান সিঁড়ির পরিষেবা চালু হচ্ছে না। যদিও সে অভিযোগ মানেনি রেল।

Advertisement

বর্তমানে রামপুরহাট স্টেশনে ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সংযোগকারী হিসেবে দুই প্রান্তে দু’টি বেশ উঁচু ওভারব্রিজ আছে। সেই দু’টি ওভারব্রিজ দিয়ে ১ এবং ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছাড়া ৩ নম্বরেও পৌঁছতে পারেন যাত্রীরা। কিন্তু দু’টি ওভারব্রিজ ওঠানামার জন্য অনেক সিঁড়ি ভাঙতে যাত্রীদের অসুবিধা হয়। বিশেষ করে বয়স্ক এবং অসুস্থ রোগীরা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে অসুবিধায় পড়েন। এর জন্য এলাকাবাসী থেকে নিত্যযাত্রী এবং বিভিন্ন যাত্রী সংগঠন চলমান সিঁড়ি বসানোর দাবি অনেক দিন ধরেই জানিয়ে এসেছে। রামপুরহাট স্টেশনের নিত্যযাত্রী ঝন্টু সেন, গৌতম প্রামাণিকেরা বলেন, ‘‘যাত্রীদের সুবিধার জন্যই ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দু’টি জায়গায় চলমান সিঁড়ি বসানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মাস খানেক চালু থাকার পরে চলমান সিঁড়ির পরিষেবা বন্ধ আছে।’’

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কারিগরি দিক থেকে ত্রুটি থাকার জন্য চলমান সিঁড়ির পরিষেবা আপাতত বন্ধ আছে। যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতি করে খুব শীঘ্রই আবার পরিষেবা চালু হবে। রামপুরহাটের স্টেশন ম্যানেজার পুষ্কর কুমার জানান, চলমান সিঁড়িতে জল ঢুকে গিয়ে মাঝে মাঝে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কারিগরি এই ত্রুটি দেখার জন্য রেলের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। তবে, রামপুরহাট স্টেশনে চলমান সিঁড়ির ‘লোড ক্যাপাসিটি টেস্ট’ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং অন্যান্য পরীক্ষার কাজ শেষ হওয়ার পরেও কেন সিঁড়িটি এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাক ব্যবহার করা যাচ্ছে না— সে প্রশ্ন তুলেছেন স্টেশনের ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের আরও বক্তব্য, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের যোগসূত্র হিসেবে কাজ করা এই স্টেশনে চলমান সিঁডি দ্রুত চালু হওয়া দরকার। এতে বয়স্ক ও মহিলা যাত্রীদের সুবিধা হবে। রেল কর্তৃপক্ষ যদি তারাপীঠে ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যার আগে চলমান সিঁড়ির পরিষেবা চালু করেন, তা হলে ওই সময় তারাপীঠে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থী উপকৃত হবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন